শিশুসাহিত্যের অঙ্গনে এখন যাদের পদচারণা, তাদের অনেকের কাছেই হুমায়ুন সাদেক চৌধুরী নামটি হয়ত অচেনা। কিন্তু গত শতকের আশির দশকে যারা লেখালেখি করতেন তারা তাকে অবশ্যই মনে রাখবেন, বিশেষ করে অধুনালুপ্ত সাপ্তাহিক ‘কিশোর বাংলা’য় প্রকাশিত তার রোমান্টিক কিশোর কবিতাগুলোর কথা এখনও অনেকে মনে করেন।

হুমায়ুন সাদেক চৌধুরী এখন লেখালেখিতে প্রায় অনুপস্থিত বললেই চলে। বরং সাংবাদিকতাতেই নিমজ্জিত। তিনি বর্তমানে অর্থনীতি প্রতিদিন পত্রিকায় বার্তা সম্পাদক হিসেবে কর্মরত আছেন। এর মধ্যেও এবার বইমেলায় তার একটি বই বেরিয়েছে। দ্য রিপোর্টের পক্ষ থেকে তার মুখোমুখি হন হোসেন শহীদ মজনু

এবারের মেলায় কী কী বই আসছে? কোন প্রকাশনী বের করছে?

আরে, আমি কি অত বড় লেখক নাকি যে, ‘কী কী বই’ আসবে! বই বেরুচ্ছে একটি-‘অচেনা মানুষ অজানা কথা’। বের করছে অ্যাডর্ন পাবলিকেশন।

প্রকাশিত বইটি সম্পর্কে বলুন…

প্রথমেই বলি, প্রকাশিত নয়, ‘প্রকাশিতব্য’। বইটির প্রি-প্রেস সব কাজ গত মাসের শেষ দিকেই সম্পন্ন হয়। কিন্তু আমি যখন আপনাদের সঙ্গে কথা বলছি, অর্থাৎ ১২ ফেব্রুয়ারি, তখনও বইটি মেলায় আসেনি। কবে আসবে তাও জানি না। অর্থাৎ বই এবং আমি দু’জনই অন্ধকারে।

বইটি সম্বন্ধে বলি। এটি আসলে মৌলিক কোনো রচনা নয়। বিদেশী সাময়িকী থেকে বিচিত্র সব বিষয় একজনের তাড়ায় অনুবাদ করেছিলাম। তারই কয়েকটা নিয়ে বইটি। এতে জানার, শেখার ও ভাবার আছে অনেক কিছু। আশা করি, সব বয়সের মানুষের ভালো লাগবে বইটি।

প্রকাশনার কোনো উল্লেখযোগ্য ঘটনা থাকলে বলুন…

এই যে বললাম, প্রি-প্রেস সব কর্মকাণ্ড শেষ হয়েও বইটি আটকে আছে।

বইকে কীভাবে প্রান্তিক পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়া যায় বলে মনে করেন?

এ কাজটা একজন সদিচ্ছাসম্পন্ন, উদ্যোগী ও সৃজনশীল প্রকাশকের পক্ষেই সম্ভব। মুক্তধারার চিত্তরঞ্জন সাহা এটা করতে পেরেছিলেন। আগ্রহী প্রকাশকরা তা থেকে ধারণা নিতে পারেন।

বইমেলার স্থান সম্প্রসারণের বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?

ভালো সিদ্ধান্ত। আরও ভালো হয় যদি সব স্টল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নিয়ে আসা হয়। মেলাকে দু’ভাগে ভাগ করে রাখাটা কাম্য নয়।

কেন লেখেন?

এটা এক ধরনের তাড়না বলতে পারেন। যারা লেখেন তারাই বোঝেন।

আপনার প্রথম বইটি সম্পর্কে জানতে চাইছি...

আমার প্রথম লেখা ছাপা হয় ১৯৭৬ সালে, আর প্রথম বই ২০০৯ সালে। কেমন অলস আমি, বুঝলেন? প্রথম বই ‘এক কিশোরের মন।’ কিশোর মনের বিচিত্র অনুভূতি এবং বয়ঃসন্ধির রোমান্টিক ভাবনা ও আকুলতার কাব্যিক সংকলন। বইটির দ্বিতীয় মুদ্রণ চলছে এখন।

লেখালেখির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী।

নারে ভাই, কোনো পরিকল্পনা নেই। আমি খুব বেশি লিখতে পারি না। এখন তো পেশাগত চাপে লেখালেখি দূরের কথা, পড়ার সময় পাই কম। এই তো, এভাবেই তো…।

(দ্য রিপোর্ট/এইচএসএম/এনআই/ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৪)