দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাধারণ সম্পাদক ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল জিটিভির প্রধান প্রতিবেদক রাজু আহমেদের জন্মদিন ৫ নভেম্বর। শুভ জন্মদিন রাজু আহমেদ। দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকম পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।

রাজু আহমেদ ১৯৭৮ সালের এই দিনে মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার কাজিরগাঁও গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মজিবুর রহমান (মজনু বেপারী) এবং মা নুরজাহান বেগমের সাত সন্তানের মধ্যে তিনি চতুর্থ।

শিক্ষাজীবনের শুরু থেকেই মেধাবী ছাত্র হিসেবে রাজু আহমেদ নিজ এলাকায় পরিচিতি লাভ করেন। তিনি ১৯৮৯ সালে প্রাথমিক বৃত্তি লাভ এবং ১৯৯৫ সালে মুন্সীগঞ্জের বালিগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে এসএসসি পাস করেন। ঢাকা কলেজ থেকে ১৯৯৭ সালে এইচএসসি পাস করে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনি সেখান থেকে বাংলা বিভাগে ২০০৪ সালে স্নাতক এবং ২০০৫ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। এ ছাড়া তিনি সাংবাদিকতা এবং অর্থনীতি বিষয়ে অনেকগুলো প্রশিক্ষণ কোর্স সম্পন্ন করেছেন।

২০০৫ সালের ৫ এপ্রিল অন্তরা আহমেদের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন রাজু আহমেদ। এ দম্পতির অনন্ত আহমেদ ও অরণ্য আহমেদ নামে দুই পুত্র সন্তান রয়েছে। বড় ছেলে অনন্ত রাজধানীর মালিবাগস্থ সাউথ পয়েন্ট স্কুলের ক্লাস ওয়ানের শিক্ষার্থী।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকা অবস্থায় রাজু আহমেদ ২০০০ সালে সাংবাদিকতায় যুক্ত হন। শুরুতে সাপ্তাহিক একতা এবং প্রায় একই সময়ে সাপ্তাহিক খবরের কাগজ, সাপ্তাহিক ২০০০, পাক্ষিক ক্রীড়া জগৎ পত্রিকায় কাজ করেন। ২০০৩ সালে দৈনিক আজকের কাগজে স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে যোগ দেন। ২০০৭ সালে আজকের কাগজ বন্ধ হয়ে গেলে তিনি প্রথমে দৈনিক জনকণ্ঠ ও পরে বৈশাখী টেলিভিশনে যোগ দেন। পরবর্তীতে দৈনিক সংবাদপত্র নামে একটি নতুন দৈনিকের প্রস্তুতিকালে তিনি সিনিয়র রিপোর্টার হিসেবে সেখানে যোগ দেন। পত্রিকাটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ না হওয়ায় সেখান থেকে দৈনিক শেয়ারবিজ কড়চা নামের শেয়ারবাজারভিত্তিক একটি পত্রিকায় যোগ দেন এবং পত্রিকাটি বাজারে নিয়ে আসতে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। সেখান থেকে ভোরের ডাক হয়ে ২০০৯ সালে সিনিয়র রিপোর্টার হিসেবে পুনরায় দৈনিক জনকণ্ঠে যোগদান করেন। রাজু আহমেদ ২০১২ সালে গাজী টেলিভিশনে সিনিয়র রিপোর্টার পদে যোগ দেন। ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে তিনি বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে পদোন্নতির পাশাপাশি প্রধান প্রতিবেদকের দায়িত্ব পান। বর্তমানেও তিনি এই দায়িত্ব পালন করছেন।

সাংবাদিকতায় কৃতিত্ব হিসেবে তিনি ২০০৬ সালে প্যানোস সাউথ এশিয়া ফেলোশিপ, ২০০৭ সালে ইউএনএফপিএ রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড, ২০০৮ সালে এফপিএবি সাংবাদিকতা পুরস্কার, ২০১১ সালে ইআরএফ অ্যাওয়ার্ড, একই বছর ইউএনএফপিএ-ডিজিএফপি জার্নালিজম অ্যাওয়ার্ড, ২০১৩ সালে সিএসএফ-ফ্রেড হলোস ফাউন্ডেশন ফেলোশিপ অ্যাওয়ার্ড এবং ২০১৪ সালে ডিআরইউ-গ্রামীণফোন বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন।

সাংবাদিকতার পাশাপাশি রাজু আহমেদ সমাজ ও অর্থনীতির বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা কাজে নিয়োজিত আছেন। তার উল্লেখযোগ্য গবেষণা কাজের মধ্যে রয়েছে- ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন পরিকল্পনা ও দারিদ্র্য বিমোচন’, ‘বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের সংস্কার কর্মসূচি : প্রেক্ষিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দু’বছর’, ‘কৃষিতে রাষ্ট্রীয় নীতি ও কৃষি বাজেট : একটি পর্যালোচনা’, ‘কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল ও অঞ্চলভিত্তিক কৃষিজাত শিল্পের সম্ভাবনা’, ‘যৌতুক, বিদেশ গমন ও সামাজিক সমস্যা’ ইত্যাদি।

রাজু আহমেদ বর্তমানে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে ২০১৩ সালে সংগঠনটির সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। এ ছাড়া তিনি জাতীয় প্রেস ক্লাব, ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) এবং ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরামেরও (সিএমজিএফ) সদস্য।

স্কুলজীবন থেকেই রাজু আহমেদ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কাজে জড়িত হন। তিনি মুন্সীগঞ্জের অন্যতম প্রধান থিয়েটার গ্রুপ নাট্যবিন্দুর সদস্য হিসেবে বেশ কয়েকটি মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেন। পরবর্তীতে অনেকগুলো টিভি নাটকেও অভিনয় করেছেন। তিনি বালিগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় স্কাউট দলের সিনিয়র পেট্রোল লিডারের দায়িত্ব পালন করেন। এর অংশ হিসেবে ১৯৯৫ সালের জাতীয় ও এশিয়া-প্যাসিফিক জাম্বুরিতে অংশ নেন।

রাজু আহমেদ বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

জন্মদিনে বিশেষ কোনো আয়োজন নেই বলে দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমেক জানিয়েছেন রাজু আহমেদ।

(দ্য রিপোর্ট/কেএ/জেডটি/এনআই/নভেম্বর ০৫, ২০১৬)