র‌্যাব যে তথ্য দিয়েছে তা সঠিক মেনে নিলে বলতে হয় একটি ভুয়া অডিওবার্তা নিয়ে আমরা আশঙ্কায় ছিলাম। আল কায়েদার কথিত এই বার্তা নিয়ে দেশের রাজনীতির মাঠ সরব হতে শুরু করেছিল। প্রধান পক্ষসমূহ যার যার অবস্থান থেকে পরস্পরের দিকে দু’একটি বাক্যবাণ ছোঁড়া শুরু করেছিল।

তবে রাজনৈতিক মারপ্যাঁচ ছাড়া সরকারের দু’একজন মন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে তারা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বার্তাটির সত্যতা নিয়ে। অন্যদিকে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এই বার্তাটিকে সরকারের কারসাজি বলতে চেয়েছেন।

দেশের বিবদমান রাজনৈতিক পক্ষসমূহ যা-ই বলুক, প্রশাসন ইতোমধ্যে বার্তাটি কোথা থেকে এসেছে তা উদ্ঘাটন করার দাবি করেছে এবং ওয়েবসাইটটি বন্ধ করে দিয়েছে, যাতে এই কথিত বার্তাটি জনগণ দেখতে না পায়। প্রশাসনের তরফ থেকে আরও বলা হয়েছে, যারা এই বার্তা প্রেরণের সাথে জড়িত তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। র‌্যাবের দাবি মোতাবেক রাসেলই যদি উল্লেখিত অডিওবার্তার মূল নায়ক হন তাহলে ভয়ের তেমন কিছু নেই। কিন্তু আল কায়েদা না হোক অন্য কোনো বিশেষ শক্তি যদি এই অডিওবার্তাটি প্রেরণ করে থাকে তাহলে বাংলাদেশের জন্য এটা একটা অশনিসংকেত বলা যায়। এ ব্যাপারে সরকার ও বিরোধীপক্ষ- সকলকেই সচেতন থেকে মন্তব্য করা উচিত, যাতে তাদের বিরোধের সূত্র ধরে কোনো বহিঃশক্তি এই দেশটিকে তাদের উদ্দেশ্য সাধনে ব্যবহার করতে না পারে।