দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : দেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন দেশেই তৈরি করছে উচ্চমানের হোম ও ইলেকট্রিক্যাল এ্যাপ্লায়েন্সেস। অভ্যন্তরীণ বাজারে চলতি বছর এসব পণ্যের বাজারজাত শুরুর পর দ্রুতই গ্রাহক পর্যায়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালে দেশের সিংহভাগ বাজার নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ওয়ালটন। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে মাঠ পর্যায়ে কর্মরত বিক্রয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে দিনব্যাপী মতবিনিময় সভা করেছে ওয়ালটন। সভায় সিংহভাগ বাজার দখলে সঠিক, সময়োপযোগী ও আধুনিক বিক্রয় কৌশলের উপর জোর দেওয়া হয়।

গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন মাইক্রোটেক করপোরেশন প্রাঙ্গণে গত ৮ ডিসেম্বর সকালে শুরু হয় ওয়ালটন প্লাজা হোম ও ইলেকট্রিক্যাল এ্যাপ্লায়েন্স’র আলোচনাসভা। এতে অংশ নেন প্রায় ৩০০ বিপণন কর্মকর্তা। তারা মাঠ পর্যায় থেকে লব্ধ জ্ঞান ও তাদের সৃজনশীল মেধাকে কাজে লাগিয়ে নতুন বছরে ওয়ালটন হোম ও ইলেকট্রিক্যাল এ্যাপ্লায়েন্সের শক্তিশালী বাজার তৈরিতে দৃঢ়ভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

দিনব্যাপী আলোচনাসভার উদ্বোধন করেন ওয়ালটন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম শামসুল আলম। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন গ্রুপের পরিচালক এসএম মাহবুবুল আলম, নির্বাহী পরিচালক ও বিপণন বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক ইভা রেজওয়ানা, নির্বাহী পরিচালক ও বিপণন বিভাগের প্রধান এমদাদুল হক সরকার, প্লাজা সেলস ও ডেভেলপমেন্ট বিভাগের সিনিয়র এ্যাডিশনাল ডিরেক্টর কামাল হোসেন ও মতিউর রহমান, মিডিয়া উপদেষ্টা এনায়েত ফেরদৌস প্রমুখ।

সভায় জানানো হয়, ওয়ালটন মাইক্রোটেক করপোরেশনে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি করা হচ্ছে ইন্ডাকশন কুকার, গ্যাস স্টোভ, ব্লেন্ডার, সিলিং ও দেয়াল ফ্যান, বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রিক সুইচ-সকেট, রিচার্জেবল ব্যাটারি, এলইডি লাইট, প্যানেল লাইট, রিমোট কন্ট্রোল ফ্যান, রেগুলেটরসহ অন্যান্য হোম ও ইলেকট্রিক্যাল এ্যাপ্লায়েন্সেস। পরিকল্পনায় রয়েছে নতুন বছরে আরো বেশ কিছু হোম এ্যাপ্লায়েন্সেস উৎপাদনের। প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করে জার্মানি, জাপান, তাইওয়ানের প্রযুক্তিগত সহায়তায় মেধাবী, দক্ষ প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ানরা তৈরি করছেন এসকল পণ্য। মান নিয়ন্ত্রণে জিরো টলারেন্স নীতির অনুসরণ করে ইন্টারন্যাশনাল ইলেকট্রোটেকনিক্যাল কমিশন (আইইসি)-এর স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ খ্যাত এসব পণ্য তৈরি হচ্ছে।

ওয়ালটন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম শামসুল আলম বলেন, আমাদের উৎপাদিত হোম ও ইলেকট্রিক্যাল এ্যাপ্লায়েন্সেস আন্তর্জাতিকমানের। পাশাপাশি দামও তুলনামূলক সাশ্রয়ী। রয়েছে দেশব্যাপী বিস্তৃত সার্ভিস পয়েন্ট ও শক্তিশালী মার্কেটিং নেটওয়ার্ক। সার্বিক বিষয় বিবেচনায় ২০১৭ সালে এসব পণ্যের সিংহভাগ বাজার নিজেদের করে নিতে প্রস্তুত ওয়ালটন।

এজন্য সংশ্লিষ্টদের মেধা ও অভিজ্ঞতার সমন্বয়ে কৌশলগত উৎপাদন ও বিক্রয় পরিকল্পনা প্রণয়নের উপর জোর দেন তিনি।

ওয়ালটন গ্রুপের পরিচালক এসএম মাহবুবুল আলম বলেন, লক্ষ্য অর্জনে পণ্যের উচ্চমান ও অন্যান্য বিশেষ গুণ সম্পর্কে বিক্রয় প্রতিনিধিদের ব্যাপক জ্ঞান অর্জন করতে হবে। ক্রেতাদের তা জানাতে হবে। পাশাপাশি ক্রেতাদের চাহিদার বিষয়টি মাথায় রেখে পণ্য উৎপাদনে বৈচিত্র্য আনতে হবে।

ওয়ালটনের প্রধান বিপণন সমন্বয়ক ইভা রেজওয়ানা বলেন, ২০১৬ সালের প্রথমদিকে ৪৭টি প্লাজা ডিস্ট্রিবিউটর নিয়ে হোম ও ইলেকট্রিক্যাল এ্যাপ্লায়েন্সের মার্কেটিং কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। উচ্চ গুণগতমান ও সাশ্রয়ী মূল্যের ফলে খুব দ্রুতই গ্রাহক পর্যায়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এসব পণ্য। যার পরিপ্রেক্ষিতে ডিস্ট্রিবিউটর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। আশা করি ওয়ালটন আগামী বছরেই মার্কেট লিডার হতে সক্ষম হবে।

(দ্য রিপোর্ট/এস/এপি/জানুয়ারি ০৭, ২০১৭)