দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বিদেশে জনশক্তি রফতানির ক্ষেত্রে সব রিক্রুটিং এজেন্সির সমান সুযোগ কেন নিশ্চিত করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সোমবার (৯ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, বাণিজ্য সচিব, ট্রেড অর্গানাইজেশনের পরিচালক, বায়রার সভাপতিকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানির ক্ষেত্রে সিন্ডিকেট গঠনের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

এছাড়া বায়রার সেক্রেটারির বিরুদ্ধে সিন্ডিকেট গঠনের যে অভিযোগ ওঠেছে তা তদন্ত করে ট্রেড অর্গানাইজেশনের ডিরেক্টরকে এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশও দিয়েছেন আদালত।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফিদা এম কামাল। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ সামিউল হক। পরে আইনজীবী সামিউল হক দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিদেশে জনশক্তি রফতানির জন্য সাড়ে সাতশ’ এর মতো এজেন্সি আছে। তার মধ্যে ১০টি প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে একটি সিন্ডিকেট গঠন করা হয়।

এই সিন্ডিকেট গঠনকে আইনের পরিপন্থী অভিহিত করে সাদমান ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী মোবারক হোসেন বুলবুল, জেনারেল ট্রেডিং কোম্পানীর স্বত্ত্বাধিকারী খলিলুর রহমান ও ইস্টার্ন বিজনেস এসোসিয়েট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়ালিউল্লাহ ৮ জানুয়ারি হাইকোর্টে একটি রিট করেন।

রিটে জনশক্তি রফতানিতে সকল রিক্রুটিং এজেন্সির সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে রুল জারির নির্দেশনা চাওয়া হয়। সেই আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে আদালত আজ (সোমবার) এই আদেশ দিলেন।

(দ্য রিপোর্ট/কেআই/এমকে/জানুয়ারি ০৯, ২০১৭)