দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : সম্পদের তথ্য গোপনে দুদকের করা মামলা বাতিল চেয়ে বিএনপির  সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের করা রিটের রায় যে কোনো দিন। মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ মামলা বাতিলে জারি করা রুল শুনানি শেষে রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন।

আদালতে জোবায়দা রহমানের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

এর আগে ২০১৬ সালের ২ নভেম্বর জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে করা আবেদনটি শুনতে বিব্রত বোধ করেছিলেন বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ। পরে নিয়ম অনুযায়ী প্রধান বিচারপতি মামলাটি শুনানির জন্য বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে পাঠান।

অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের যাবেতীয় তথ্য গোপন করার জন্য তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানসহ তারেকের শ্বাশুড়ি ইকবাল এম আর বানুর বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর মামলা দায়ের করে দুদক।

কাফরুল থানায় দায়ের করা মামলায় ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া ও সম্পদেও তথ্য গোপনের অভিযোগে আনা হয়। মামলায় তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান ও শ্বাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়।

পরে একই বছরে জোবায়দা রহমানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করলেও আপিল বিভাগ তাতে সাড়া দেননি।

এ মামলায় আসামিপক্ষ দুদককে শুরুতে পক্ষভুক্ত করেনি। ২০১৫ সালের ২ এপ্রিল দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ দুদককে পক্ষভুক্ত করার আবেদন মঞ্জুর করেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক ২০০৮ সালে স্ত্রী-মেয়েকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে যান। এর পর থেকে তারা সেখানেই রয়েছেন।

(দ্য রিপোর্ট/কেআই/জানুয়ারি ১০, ২০১৭