দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তকে ভুলের জন্য এবার জাতীয় পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) আর্টিস্ট কাম ডিজাইনার (চিত্র ও নকশাকার) সুজাউল আবেদিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের উপ-সচিব সুবোধ চন্দ্র ঢালী মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেছেন, ‘এসসিটিবির তদন্ত কমিটির প্রাথমিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বোর্ড মঙ্গলবার সুজাউল আবেদিনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে।’

চলতি শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক, নিম্ন মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের ৩৬ কোটি ২১ লাখ ৮২ হাজার ২৮৫টি বই বিনামূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিকদের কয়েকটি বইয়ের ভুলত্রুটি নিয়ে ইতোমধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এসব নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে।

প্রথম শ্রেণির বাংলা বইয়ে ‘আ’ বর্ণ দিয়ে ‘আম’ শব্দ বানিয়ে বাক্য বানানো হয়েছে ‘আম খাই’। কিন্তু ‘আম খাই’ বোঝাতে একটি আম গাছের নিচের অংশে দুই পা তুলে একটি ছাগলের দাঁড়িয়ে থাকায় ছবি দেওয়া হয়েছে। এটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে সমালোচনা করছেন। কেউ আম গাছে উঠে ছাগলের আম খাওয়ার দৃশ্য দিচ্ছেন ফেসবুকে।

এ ঘটনায় এনসিটিবি’র সদস্য (অর্থ) অধ্যাপক কাজী আবুল কালামকে আহ্বায়ক করে গঠিত তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটির প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে সোমবার এনসিটিবি’র প্রধান সম্পাদক প্রীতিশ কুমার সরকার ও ঊর্ধ্বতন বিশেষজ্ঞ লানা হুমায়রা খানকে ওএসডি করা হয়েছে।

এ ছাড়া সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রুহী রহমানকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের অধীনে প্রকাশিত ২০১৭ সালের পাঠ্যপুস্তকে ভুলত্রুটি নির্ণয় ও এসব ভুলত্রুটির জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে যথাযথ সুপারিশসহ প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

পাঠ্যবইয়ের ভুলত্রুটি নিয়ে মঙ্গলবার শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং এনসিটিবির তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে পাঠ্যপুস্তকে ভুল সংশোধনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।

(দ্য রিপোর্ট/আরএমএম/জেডটি/জানুয়ারি ১০, ২০১৭)