কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজারের টেকনাফের আনসার ক্যাম্পে হামলা চালানোর দীর্ঘ ৭ মাস পর ৫টি অস্ত্র উদ্ধার করেছে র‌্যাব। ওই হামলায় মোট ১১টি অস্ত্র লুট হয়েছিল। এ অস্ত্র লুটের ঘটনায় জড়িতদের অধিকাংশই রোহিঙ্গা বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ।

তিনি বলেছেন, ‘অস্ত্র লুটে জড়িতদের মধ্য থেকে এ পর্যন্ত ৮ জনকে আটক করা হয়েছে। অন্যদিকে, লুটকৃত অস্ত্রের মধ্য থেকে ৫টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৬টি অস্ত্র উদ্ধারেও অভিযান অব্যাহত রেখেছে র‌্যাব-৭।’

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু পুরান পাড়া এলাকার গহীন অরণ্যে র‌্যাবের অভিযানে শেষে ঘটনাস্থলেই সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন র‌্যাব মহাপরিচালক।

তিনি জানান, অভিযানে পাঁচটি দেশীয় অস্ত্র ও ১৮৯ রাউন্ড বন্দুকের গুলি উদ্ধার হয়েছে।

র‌্যাব-৭ এর কক্সবাজার ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লে. কর্নেল আশেকুর রহমান জানিয়েছেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার (৯ জানুয়ারি) রাতে ৯টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং এলাকায় অভিযান চালায় র‌্যাব। এ সময় টেকনাফের আনসার ক্যাম্পের অস্ত্র লুটের ঘটনার অন্যতম ৩ হোতা খাইরুল আমিন (বড়), হাসান আহমদ ও মাস্টার আবুল কালাম আজাদকে আটক করা হয়। তাদের কাছে ১টি পিস্তল, ১টি ওয়ান শ্যুটার গান এবং গুলি পাওয়া গেছে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যানুসারে আনসার ক্যাম্প থেকে লুট হওয়া আরো অস্ত্র উদ্ধার করতে রাত ১১টা থেকে নাইক্ষ্যংছড়ির বিভিন্ন পাহাড়ে অভিযান ((আটককৃতদের সঙ্গে নিয়ে) চালায় র‌্যাব। অভিযানে ১টি এসএমজি, ৬টি ম্যাগাজিন, ১টি চাইনিজ রাইফেল এবং ১টি এম-২ চাইনিজ রাইফেল উদ্ধার করে র‌্যাব।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১২মে টেকনাফ উপজেলার নয়াপাড়ায় রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে আনসার বাহিনীর শালবন ব্যারাকে গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। এতে আনসারের এক কমান্ডার নিহত হন। দুর্বৃত্তরা ব্যারাক থেকে ১১টি অস্ত্র ও বিপুলসংখ্যক গুলি লুট করে নিয়ে যায়।

(দ্য রিপোর্ট/এমএইচএ/জেডটি/জানুয়ারি ১০, ২০১৭)