দিনাজপুর প্রতিনিধি : চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির শ্রমিকদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) তৃতীয়দিনের মত অব্যাহত রয়েছে। ধর্মঘটের অংশ হিসেবে খনির গর্ভে অবস্থান করছে ২২৬ জন শ্রমিক। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা উপরে উঠে আসতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

এনিয়ে মঙ্গলবার শ্রমিক ইউনিয়নের সঙ্গে খনি কর্তৃপক্ষের সমঝোতা বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও তা ভেস্তে যায়।

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক কর্মচারি ইউনিয়ন রবিবার (৮ জানুয়ারি) চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দেয়। ফলে রবিবার দুপুর থেকে খনির কয়লা উত্তোলনের কাজ বন্ধ রয়েছে।

কয়লা খনির জিএম (মাইনিং) সাইফুল ইসলাম সরকার জানান, দিন হাজিরার শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ীকরণের কোন ক্ষমতা তাদের নেই। কেননা নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে খনি কর্তৃপক্ষের কয়লা উত্তোলন, মজুদসহ ব্যবস্থাপনার চুক্তি রয়েছে। শ্রমিকদের বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কর্তৃত্ব রাখে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান। খনি কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের বেতন-ভাতাসহ সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর জন্য নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে পরামর্শ দিতে পারে মাত্র।

এদিকে খনির ভূগর্ভে অবস্থানরত ২২৬ জন শ্রমিক তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত উপরে উঠতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। খনি কর্তৃপক্ষ তাদেরকে উপরে চলে আসার জন্য বারংবার বললেও তারা তাতে সম্মতি জানায়নি। খনি কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে ২২৬ জন শ্রমিককে প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে এসব শ্রমিকের পরিবার-পরিজন চরম উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। স্বজনদের খবর নেওয়ার জন্য খনির মূল গেটে এসব পরিবার-পরিজন ঘণ্টার পর ঘণ্টা অবস্থান করছেন।

শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি রবিউল ইসলাম জানান, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে। মঙ্গলবার বিকেলে জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলম বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে খনি কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলেছেন।

এদিকে খনির ভিতরে থাকা মোশাররফ, ফাইজার, তহসিন ও আব্দুল কাদেরসহ ৭ শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে মঙ্গলবার সকালে তাদেরকে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএইচএ/এপি/জানুয়ারি ১০, ২০১৭)