দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্রড ইনডেক্স ডিএসইএক্স-এর ইতিহাস সৃষ্টির জন্য দরকার মাত্র ০.১৭ পয়েন্ট। তাহলে এ সূচক যাত্রার ৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে উঠে যাবে। ডিএসইর ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসইএক্স যাত্রা শুরু করেছে ২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি। এর মধ্যে এই সূচক ২০১৪ সালের ১২ অক্টোবর সর্বোচ্চ ৫৩৩৪.০৪ পয়েন্টে উঠেছিল। আর চলতি বছরের বুধবার (১১ জানুয়ারি) লেনদেন শেষে এ সূচক ৫৬.৪৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩৩৩.৮৮ পয়েন্ট। ফলে ডিএসইএক্স-এর সর্বোচ্চ সূচকের ইতিহাস গড়তে প্রয়োজন মাত্র ০.১৭ পয়েন্ট।

এদিন ডিএসইতে ১ হাজার ৭০৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যা গত সাড়ে ৫ বছর বা ২০১১ সালের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন।

ডিএসইতে ৩২৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১৯৪টি বা ৫৯.৫১ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে। আর ১১৭টি বা ৩৫.৮৯ শতাংশ কোম্পানির দর কমেছে এবং ১৫টি বা ৪.৬০ শতাংশ কোম্পানির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। এদিন কোম্পানির ৯১ কোটি ৬৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইফাদ অটোসের ৩১ কোটি ৪৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৩০ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে আমান ফিড।

লেনদেনে এরপর রয়েছে ডেসকো, আরএসআরএম স্টিল, ন্যাশনাল ব্যাংক, অ্যাপোলো ইস্পাত, লংকাবাংলা্ ফাইন্যান্স, ডরিন পাওয়ার জেনারেশন ও প্রিমিয়ার ব্যাংক।

এদিন অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক ৯৬.৩৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৯৩০.২৩ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে ৯৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৭১টি ইস্যুর মধ্যে দর বেড়েছে ১৬৮টির, কমেছে ৯৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৭ টি’র।

(দ্য রিপোর্ট/আরএ/এম/জানুয়ারি ১১, ২০১৭)