দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : রাজধানী সেগুনবাগিচার জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার হলে রবিবার (২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় মঞ্চায়িত হবে আরণ্যক নাট্যদলের দর্শকনন্দিত নাট্য প্রযোজনা ‘রাঢ়াং’।

সাঁওতালদের জীবনের নানা ঘাত-প্রতিঘাত এবং সংগ্রামের চিত্র নিয়ে নাটকটি রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন মামুনুর রশীদ।

এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন— মামুনুর রশীদ, চঞ্চল চৌধুরী, আ খ ম হাসান, শামীম জামান, তমালিকা কর্মকার, জয়রাজ, হাশিম মাসুদ, রুবলী চৌধুরী, লাভলী, ছবি, আপেল, বাপ্পদিত্য চৌধুরী, সাজু প্রমুখ।

নাটকের অগ্রিম টিকিট পাওয়া যাওয়া যাবে- ০১৭১০-৮৮৪৯৬৪ ও ০১৭১৮-৭৫৯৭৫৪ নম্বরে।

নাটকটির গল্প গড়ে উঠেছে সাঁওতালদের নিয়ে। ভারতীয় উপমহাদেশে ঔপনিবেশিক ব্রিটিশের বিরুদ্ধে যারা প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধে রুখে দাঁড়ায় তারা সাঁওতাল। ১৭৮৪ সালে হাজারীবাগ জেলার কালেক্টর ক্লিভল্যান্ডকে হত্যার মাধ্যমে এর সূত্রপাত।

তার পর ১৮৫৫ সালে সিধু, কানু, চাঁদ ও ভৈরবের নেতৃত্বে গড়ে ওঠে ‘সাঁওতাল বিদ্রোহ’ নামে এক ঐতিহাসিক প্রতিরোধ, যার পরবর্তী অধ্যায় সর্বভারতীয় প্রতিরোধ ও ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহ। এ অঞ্চলের আদিবাসীদের ভূমির অধিকারের লড়াইয়ে সাঁওতালদের অবদান একটি কিংবদন্তিসম উপাখ্যান। ভারত বিভক্তির পর ইলা মিত্রের নেতৃত্বে নাচোলের কৃষক আন্দোলনে সাঁওতালদের ভূমিকা আজও সংগ্রামী কৃষক ও আদিবাসীদের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে একটি আলোকবর্তিকা।

২০০০ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের নওগাঁয় আলফ্রেড সরেনের নেতৃত্বে ভূমির জন্য লড়াই ও আলফ্রেড সরেনের আত্মত্যাগ, সাঁওতালদের এই দীর্ঘ সংগ্রামের বিশাল উত্তরাধিকারকে মঞ্চে তুলে ধরার প্রয়াসই রাঢ়াং।

দেশ বিদেশের বিভিন্ন মঞ্চে প্রদর্শিত হয়েছে নাটকটি। ভারতের দিল্লি, কেরালা ও দক্ষিণ কোরিয়ার আন্তর্জাতিক নাট্যোৎসবে নাটকটি প্রদর্শিত হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/পিএস/এফএস/জানুয়ারি ২২, ২০১৭)