দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : বিদেশী অতিথিদের সাহায্যার্থে উত্তর জাপানের কর্তৃপক্ষ স্থানীয় আচার-ব্যবহার এবং খাদ্য সম্পর্কে বেশকিছু নতুন চিহ্নের প্রচলন করেছে। চিহ্নগুলো ব্যবহার হচ্ছে জাপানের মোরিওকা শহরে, যেখানকার কর্তৃপক্ষ জাপানী ভাষা না জানা পর্যটকদের আরো স্বাগত জানানোর উদ্দেশ্যে এই নতুন পথ আবিষ্কার করেছেন। জাপান টাইমসে এই খবর দেওয়া হয়।

স্থানীয় বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য ২৬টি নতুন সতর্কতামূলক সঙ্কেত ডাউনলোড করার জন্য দেওয়া হয়েছে। একটি চিহ্নে দেখা যাচ্ছে, একটি বাটির ভেতর উল্লসিত এক শুকরছানা, যার অর্থ হচ্ছে এই খাবারে শুকরের মাংস রয়েছে।

অন্য একটি চিহ্নের মাধ্যমে গরম পানির ঝর্ণা থেকে কাপড় বদলানোর কক্ষে ঢোকার আগে গা শুকিয়ে নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। চিহ্নটি হচ্ছে, কর্দমাক্ত পানির মধ্যে এক ব্যক্তি এবং পানির ওপর একটি রবারের হাঁস ভাসছে।

মোরিওকা উন্নয়ন ব্যুরোর প্রধান তাকেফুমি শিমোমুকাই বলেন, ‘মানুষের আগ্রহ তৈরির জন্য সাধারণ কিন্তু মজাদার কিছু করতে চাচ্ছিলেন তারা। এই এলাকায় টোকিয়ো কিংবা কিয়োটোর মতো পর্যটক সমাগম নেই এবং ভাষাগত সমস্যার কারণে স্থানীয়রাও পর্যটকদের সাহায্যে এগিয়ে আসার বিষয়ে আগ্রহী হন না।’

‘কিছু ব্যবসায়ীরা ভাবছিলেন যে, ভাষাগত বাধার কারণে অনেক বিদেশী পর্যটক হয়তো নিজেদের এখানে স্বাগত না ভেবে ফিরে গেছেন’ বলেন তিনি।

জাপানের অন্যান্য কিছু অংশে অবশ্য পর্যটকদের জন্য কিছু হাই-টেক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গত বছর নতুন একটি অ্যাপ চালু হয়েছে, যার মাধ্যমে রেলওয়ের ঘোষণা কোন ব্যবহারকারী নিজ ভাষায় অনুবাদ করে নিতে পারবেন।

আবার কিছু এলাকায় ২৪ ঘণ্টাব্যাপী পর্যটকদের জন্য চিকিৎসক খোঁজা কিংবা লাগেজ পাঠানোর মতো জরুরী কাজের জন্য টেলিফোনের মাধ্যমে সেবা দেওয়া হয়। সূত্র : বিবিসি বাংলা।

(দ্য রিপোর্ট/এফএস/ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৭)