দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (লিকুইফাইড ন্যাচারাল গ্যাস-এলএনজি) পরিবহনে দুটি জাহাজ কিনতে চীনের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নন-বাইন্ডিং সমঝোতা স্মারক (এম ও ইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।

সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর এম হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া এবং চাইনিজ ইন্সটিটিউিট অব মেরিন এন্ড অফসোর ইঞ্জিনিয়ারিং এইচবি কোম্পানি লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার ইয়ান জুন এমওইউতে স্বাক্ষর করেন।

এ সময় নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রতিটি জাহাজের ধারণ ক্ষমতা ৪০ হাজার কিউবিক মিটার। চট্টগ্রামের মহেশখালী দ্বীপে পেট্রোবাংলার নির্মাণাধীন দেশের প্রথম এলএনজি ইমপোর্ট টার্মিনালে এলএনজি সরবরাহে এসব জাহাজ ব্যবহার করা হবে। এলএনজি ক্যারিয়ার ভেসেল দুটির নির্মাণ কাজ মূল চুক্তির ১৮ মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবে।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, এক লাখ থেকে সোয়া লাখ মেট্রিকটন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি মাদার ট্যাংকার নির্মাণে চীনের একটি কোম্পানির সাথে গত এপ্রিলে বিএসসি এমওইউ স্বাক্ষর করেছে। মাদার ট্যাংকার দুটির মাধ্যমে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) আমদানি করা ক্রুড অয়েল (অপরিশোধিত তেল) চট্টগ্রাম বহিঃনোঙর পর্যন্ত পরিবহন করা যাবে। এতে বিদেশি জাহাজের উপর নির্ভরশীলতা কমার পাশাপাশি দেশে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে।

এছাড়া বিএসসির জন্য বড় ধরনের আরও ছয়টি জাহাজ সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলছে। এ জাহাজগুলো চীন থেকে ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে দেশে আসবে। এগুলোর মধ্যে তিনটি বাল্ক ক্যারিয়ার এবং তিনটি অয়েল ট্যাংকার।

প্রতিটি জাহাজের পণ্য ধারণক্ষমতা ৩৯ হাজার টন। জাহাজগুলো সংগ্রহে ব্যয় হবে প্রায় এক হাজার ৮৪৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে চীনের এক্সিম ব্যাংক দেবে এক হাজার ৪৪৮ কোটি টাকা, বাকি ৩৯৫ কোটি টাকা দেবে বিএসসি।

অয়েল ট্যাংকার দিয়ে বিপিসি পরিশোধিত আমদানি তেল পরিবহন করবে। বাল্ক ক্যারিয়ারে সারসহ বিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লা পরিবহন করা হবে বলে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/আরএমএম/এপি/ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৭)