কলকাতা প্রতিনিধি : যথাযথ মর্যাদায় পশ্চিমবঙ্গেও পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এ উপলক্ষে শুক্রবার রাজ্যজুড়েই একগুচ্ছ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

বিকেলে পার্কের ভাষা মঞ্চে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের উদ্যোগে একটি অনুষ্ঠানে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।

এ দিন সকালে কলকাতার পার্ক সার্কাসে অবস্থিত বাংলাদেশ লাইব্রেরি থেকে একটি প্রভাতফেরী বের হয়। শহরের বেশ কয়েকটি জায়গা ঘুরে প্রভাতফেরী এসে পৌঁছায় বাংলাদেশ উপদূতাবাস প্রাঙ্গণে।

সেখানে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান বিশিষ্ট সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, উপ-রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম, ফার্স্ট সেক্রেটারি (প্রেস) মুস্তাক আহমেদসহ বিশিষ্টরা।

এরপর ভাষা দিবসের তাৎপর্য নিয়ে একটি আলোচনা সভারও আয়োজন করা হয়। বিকেল সাড়ে চারটায় দূতাবাস প্রাঙ্গণে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

এই দিনটির তাৎপর্য তুলে ধরে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, বাংলাদেশ ভাষাভিত্তিক একটি রাষ্ট্র, ভাষার জন্য তারা বুকের তাজা রক্ত দিয়েছেন। ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এটা এপারের বাঙালির কাছেও গৌরবের বিষয়।

বিশিষ্ট এই সাহিত্যিক জানান, বাংলাদেশের জন্য গৌরব অনুভব করি যে ভাষা হিসেবে একটি রাষ্ট্র বেঁচে আছে, সারা পৃথিবীর স্বীকৃতি পাচ্ছে। প্রতিটি দেশের নাগররিকদেরই তাদের নিজ নিজ মাতৃভাষাকে সম্মান করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।

বিশেষ এই দিনটিকে জাতির জীবনে ঐতিহাসিক দিন বলে বর্ণনা করে উপরাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম বলেন, প্রতিবছরই বাংলাদেশে বাংলা ভাষাকে সমৃদ্ধশালী করার লক্ষে বিশেষ কিছু কাজ করা হচ্ছে, জাতিসংঘে বাংলা ভাষাকে অন্যতম দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

এ দিকে কলকাতার রবীন্দ্রসদন চত্বরেও নবজাগরণ সংগঠন এবং ভাষা-চেতনা সমিতির যৌথ উদ্যোগে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই শুরু হয়েছে মহান ২১-এ দিবস ও ভাষা আন্দোলনের ৬২ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান। বাংলাদেশ, মেঘালয়, আসাম পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রায় দুইশ’রও বেশি শিল্পী-সাহিত্যিক-সাংবাদিক এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। উপস্থিত আছেন সুফি, কাওয়ালি, বাউল, জারি-সারি, ছৌ নাচের শিল্পীরা।

কলকাতা ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের জেলায় জেলায় পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।

(দ্য রিপোর্ট/এসআর/ইইউ/এসবি/ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৪)