দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বাংলাদেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে অন্তর্ভূক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির তাগিদ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ায় দারিদ্র্য ও বৈষম্য কমলেও তা কাঙ্খিত হারে হয়নি। উন্নয়নের অগ্রগতি ও ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ বিষয়ক এক কর্মশালায় এসব বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।

ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সাংবাদিকদের নিয়ে বুধবার এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিশ্ব ব্যাংকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় উদ্বোধন করেন সংস্থাটির কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান। বক্তব্য রাখেন বিশ্ব ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) এর সাবেক মহাপরিচালক ড. মোস্তফা কে মুজেরী, ইআরএফএর সভাপতি সাইফ ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান প্রমুখ।

চিমিয়াও ফান বলেন, বাংলাদেশের দারিদ্র্য ধারাবাহিকভাবে কমছে এটা অনেক বড় অর্জন। বাংলাদেশ আইডিএ-১৭ সফলভাবে শেষ করছে। আইডিএ ১৮তে যাচ্ছে। আগামী ৩ বছরে ব্যাপক সহায়তা দেওয়া হবে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, গ্রামীণ উন্নয়ন, সামাজিক নিরাপত্তা, বেসরকারিখাত উন্নয়ন এবং জলবায়ুসহ বিভিন্নখাতে সহায়তা দিচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (আইডিএ) হচ্ছে বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোর সহায়তা করতে গঠিত বিশ্ব ব্যাংকের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান। আইডিএ-এর মাধ্যমে স্বল্প সুদে ঋণ দেয় বিশ্ব ব্যাংক। রাষ্ট্রগুলোর পক্ষ থেকে প্রতি তিনবছর পর পর আইডিএ থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়ে চুক্তি হয়। আইডিএ-১৭ সহায়তা প্যাকেজ থেকে বাংলাদেশ ৩ বছরে প্রায় ৪ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ সহায়তা পেয়েছে।

ড. জাহিদ হোসেন বলেন, দারিদ্র্য নিরসন ও বৈষম্য কমাতে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়া ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছে। কিন্তু তা কাঙ্খিত নয়।

মোস্তফা কে. মুজেরি বলেন, এসডিজি অর্জন করতে হলে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। বিনিয়োগ হচ্ছে অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। বৈষম্যহীন প্রবৃদ্ধি অর্জন গুরুত্বপূর্ণ। চারটি বিষয় গুরুত্ব দিতে হবে আয় বাড়াতে হবে, মানসম্মত অবকাঠামো উন্নয়ন সততা বজায় রেখে ইন্টিগ্রেশন করতে হবে এবং প্রাতিষ্ঠানিক কার্যকারিতা অর্জন করতে হবে।

(দ্য রিপোর্ট/জেজে/এস/এপি/ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৭)