দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিচারিক আদালতের বিচারকের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে আদালত বদলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আবেদনের ওপর আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি শুনানি হবে। তার আইনজীবীদের সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানির এই দিন ধার্য করেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল। অপরদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

পরে ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আদালতের কাছে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় চেয়েছিলাম। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে নতুন এই দিন নির্ধারণ করেছেন।’

অপরদিকে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘উনারা মামলার বিচারকে বিলম্বিত করার জন্যই সময় আবেদন করছেন। আদালত সময় মঞ্জুর করেছেন ২২ ফেব্রুয়ারি। সেদিনই আবেদনের উপর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।’

খুরশীদ আলম খান আরও বলেন, ‘জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিচারিক আদালতে সাফাই সাক্ষী হিসেবে ১০ জনকে নির্ধারণ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে একটি রিভিশন আবেদন করেছেন ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার এপিএস নুরুল ইসলাম। সেদিনই ওই আবেদনের উপরও শুনানি হবে।’

এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালতের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। মামলাটি বর্তমানে রাজধানীর বকশীবাজারে অবস্থিত আবু আহমেদ জমাদারের বিশেষ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। আবেদনে মামলাটি অন্য আদালতে স্থানান্তরের আরজি জানানো হয়।

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মামলাটি বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও ‍বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদনের ওপর শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই আদালতের এখতিয়ার পরিবর্তন হওয়ায় পরে মামলাটি বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমেরন নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে শুনানির জন্য আবেদন করেন খালেদার আইনজীবীরা।

মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশ্যে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।

খালেদা ছাড়াও এ মামলার অপর আসামিরা হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক সাংসদ ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল, সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও জিয়াউর রহমানের বোনের ছেলে মমিনুর রহমান।

(দ্য রিপোর্ট/কেআই/এস/ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৭)