জোসনা জামান, দ্য রিপোর্ট : যশোর-বেনাপোল জাতীয় মহাসড়ক (এন-৭০৬) যথাযথ মানে ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। প্রকল্প এলাকা হচ্ছে, যশোর জেলার সদর, ঝিকরগাছা ও সারসা উপজেলা। এজন্য মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩২৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে। প্রকল্পটি জাতীয় মহাসড়ক মানে পুনঃনির্মাণের মাধ্যমে যশোর ও বেনাপোল স্থলবন্দরের সাথে রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের নিরাপদ ও যানজটমুক্ত সড়ক  যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে ভুমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) আগামী সভায়  এ প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হচ্ছে। অনুমোদন পেলে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করবে  সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ)।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, যশোর-বেনাপোল জাতীয় মহাসড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ৩৮ দশমিক ২০ কিলোমিটার। সড়কটির ৩৫ দশমিক ৮৯ কিলোমিটার অংশের প্রস্থ ৭ দশমিক ৩ মিটার অবশিষ্ট অংশের প্রস্থ ১৪ দশমিক ৬০ মিটার। বেনাপোল স্থলবন্দর হতে আমদানি ও রফতানিযোগ্য পণ্য পরিবহনে সড়কটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। সড়কটি জাতীয় মহসড়ক এবং বেনাপোল স্থলবন্দরগামী যানবাহন চলাচলের জন্য প্রধান সড়ক। এই সড়কের বিদ্যমান ট্রাফিকের এক্সেল লোড বিবেচনায় সড়কের পেভমেন্টের পুরুত্ব পর্যাপ্ত নয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ হতে প্রস্তাবিত মহাসড়কটি যথাযথভাবে জাতীয় মহাসড়ক মানে পুনঃনির্মাণের জন্য মোট ৩২৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে এবং ২০১৬ সালের জুলাই হতে ২০১৯ সালে ডিসেম্বরে বাস্তবায়নের জন্য উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) পরিকল্পনা কমিশনে প্রেরণ করা হয়। প্রস্তাবিত প্রকল্পের উপর ২০১৬ সালের ১১ আগস্ট প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই পিইসি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পুনর্গঠিত ডিপিপির মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ৩২৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা এবং প্রকল্পের মেয়াদ ২০১৭ সালের জানুয়ারি হতে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রম গুলো হচ্ছে ৪ লাখ ৯৯ হাজার ৬২ ঘনমিটার সড়ক বাঁধ নির্মাণে মাটির কাজ, ৩৫ দশমিক ৮৯ কিলোমিটার বিদ্যমান ফ্লেক্সিবল পেভমেন্ট পুনঃনির্মাণ, ২ দশমিক ৩১ কিলোমিটার বিদ্যমান ফ্লেক্সিবল পেভমেন্ট পুনঃনির্মাণ, ৩৫ দশমিক ৮৯ কিলোমিটার হার্ডশোল্ডার নির্মাণ, ৬ মিটার আরসিসি বক্স কালভাট, ৯০০ মিটার সসার ড্রেন নির্মাণ, ৩ হাজার মিটার রক্ষাপ্রদ কাজ, রিলোকেশন অব পাবলিক ইউটিলিটিজ এবং ট্রাফিক সাইন, গাইড পোস্ট, সাইন পোস্ট নির্মাণ করা হবে।

এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সদস্য জুয়েনা আজিজ পরিকল্পনা কমিশনের মতামত দিতে বলেন, প্রস্তাবিত প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে যথোপোযুক্ত মানসম্পন্ন এবং নিরাপদ সড়কপথে বেনাপোল স্থলবন্দর হতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আমদানি ও রফতানিযোগ্য পণ্য ও যাত্রী পরিবহনসহ প্রকল্প এলাকার জনসাধারণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হবে তাই প্রকল্পটি অনুমোদনযোগ্য।

(দ্য রিপোর্ট/জেজে/এপি/ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৭)