দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ভারত থেকে সীমান্ত পেরিয়ে কুড়িগ্রাম এলাকায় প্রতি সন্ধ্যায় ৭০-৮০টি হাতি ঢুকে ভুট্টাসহ খেতের ফসল নষ্ট করে এবং ঘর-বাড়ি ভেঙে তছনছ করে বলে অভিযোগ করেছেন কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য রুহুল আমিন। এ বিষয়ে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।

 

জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে তিনি বলেছেন, ‘ভারতের বিএসএফ সীমান্তের গেট খুলে দেয়। এর ফলে ভারত থেকে সীমান্ত পেরিয়ে প্রতিনিয়ত সন্ধ্যায় ৭০-৮০টি হাতি আমার নির্বাচনী এলাকায় ঢুকে পরে। হাতির দল ভুট্টাসহ খেতের ফসল নষ্ট করে এবং ঘর-বাড়ি ভেঙে তছনছ করে দেয়।’

 

তিনি আরো বলেছেন, ‘স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, স্থানীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ আমরা সেখানে গিয়ে হাতির তাণ্ডব দেখেছি। ওখানে কৃষকরা ভুট্টা ক্ষেতে বিষ দিয়েছিল বলে হাতি ভুট্টা খেতে না পেরে কৃষকদের ১২টি বাড়ি ভেঙে তছনছ করে দেয় এবং গ্রামে তাণ্ডব চালায়। প্রায়ই তারা এভাবে গ্রামে তাণ্ডব চালিয়ে ঘরবাড়ি ফসল নষ্ট করছে। আমি জামালপুর ব্যাটেলিয়ান বিজিপির সিওকে জানিয়েছি। তিনিও বিষয়টি সরেজমিনে দেখেছেন।’

 

কুড়িগ্রাম রৌমারি উপজেলার আলগারচর, ঠেওয়ার চর, ঝাউমারি, বড়ইবাড়ি গ্রামের জনগণ ভারতীয় হাতির তাণ্ডবে আতঙ্কে আছে জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘ছেলে-মেয়েরা আতঙ্কে আছে, পরীক্ষা দিতে পারছে না। বৃদ্ধ লোকরা বাড়ি ছেড়ে দূরে সরে আছে।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘রাষ্ট্রের দায়িত্ব জনগণের নিরাপত্তা দেওয়া। আমরা যারা সংসদ সদস্য আমাদেরও জনগণের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব রয়েছে। তাই যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। আর জনগণ যাতে নিরাপদে থাকতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। তাই সরকারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানাচ্ছি।’

(দ্য রিপোর্ট/কেএ/জেডটি/ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৭)