বরিশাল অফিস : পুলিশের আতঙ্ক বিরাজ করছে বরিশাল নগরীর কাউনিয়ার পুরানপাড়া ও বটতলা এলাকা।

বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে নগরীতে পুলিশ ও স্থানীয়দের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় ২৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১৪ থেকে ১৫’শ জনকে আসামি করে ওইদিন রাতেই কাউনিয়া থানার এসআই আশরাফুজ্জামান বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনারদিন রাতে পুলিশ এলাকার বিভিন্ন বাড়ি-ঘরে অভিযান চালিয়ে ৯ জনকে আটক করেছে।

শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পুরানপাড়ার বাসিন্দা তাহের আলী, তাসলিমা বেগম, নার্গিসআরা বেগমের সঙ্গে এ প্রতিবেদকের কথা হয়। তারা জানান, কোনো ধরণের নোটিশ না দিয়ে সিটি কর্পোরেশনের নেতৃত্বে তাদের বসতঘর, দোকাপাটে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।

সংঘর্ষ বটতলা এলাকায় হলেও পুরানপাড়ার প্রত্যেক বাড়িতে গভীর রাতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। পুলিশের ভয়ে এলাকার যুবক ছেলেদের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। গ্রেফতারের আতঙ্কে আছে এ এলাকার অনেক পরিবারের সদস্যরা।

দোষীদের গ্রেফতারে তাদের আপত্তি নেই জানিয়ে তারা নিরিহ লোকদের গ্রেফতার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন।

তবে পুলিশ বলছে আসামি ধরার জন্য তারা অভিযান চালাচ্ছে।

উৎকন্ঠা নিয়ে অপেক্ষা করছে কাউনিয়া থানায় আটক অটোচালক মনির হোসেন ও বেকারি শ্রমিক শুভ হাওলাদারের স্বজনরা।

শুভর স্ত্রী সাথী দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘সন্তানের জন্য নতুন বাজারে দুধ কিনতে গেলে শশ্মানঘাটের পুল এলাকা থেকে আমার স্বামীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। আমার স্বামী সংঘর্ষের সময় এলাকায় ছিল না।’

কাউনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সেলিম রেজা দ্য রিপোর্টকে জানান, ‘কোনো হয়রানি নয়, প্রকৃত দায়ীদের গ্রেফতারের তল্লাশী চালিয়েছি। ঘটনার সময় দেলোয়ার, অহিদুল, শাহ্ আলম, আব্দুল খালেক ও শহিদুল ইসলাম নামে ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। এরপর রাতে অভিযান চালিয়ে আরও ৪ জনকে আটক করা হয়।’

এদিকে বটতলা এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে দোকানীরা তাদের দোকান সরিয়ে নিচ্ছে। সাহেব আলী নামের এক দোকানী দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, তারা কখনোই উচ্ছেদ অভিযানে নোটিশ পাননি। এখন মৌখিকভাবে শুনছেন ৩ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। এজন্য দোকানপাট ভেঙ্গে অন্যত্র সরিয়ে ফেলছেন তারা। এছাড়া তাদের আর কিছুই করার নেই।

(দ্য রিপোর্ট/এস/ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৭)