মনি হায়দার

আজকে যে আমরা স্বাধীন ও স্বার্বভৌম বাঙালীর রাষ্ট্র বাংলাদেশে বাস করছি, সেই স্বাধীন দেশ অর্জনে আমাদের বেশ কয়েকটি সোপান পার হতে হয়েছে। সেই সোপানগুলোর অন্যতম সোপান হচ্ছে— ১৯৫২ সালের মহান ভাষা আন্দোলন।

ইতিহাসের আলোয় দেখো গেছে— যে-কোনো উৎসবে, পার্বণে তারুণ্য এবং যৌবনের কাণ্ডারীরা বহন করে বড় বড় দায়িত্ব। কেবল বায়ান্নো সালে অমর ভাষা আন্দোলনেই নয়, বাঙালীর যাবতীয় সংকটে তরুণ ও তরুণীরা এগিয়ে এসেছে সবার আগে। মনে করতে পারি একাত্তরের রক্তক্ষয়ী গৌরবের ঘটনা। সেখানেই অজস্র তরুণ-তরণী নিজেদের জীবন বিপন্ন করে বাংলা ও বাঙালীর স্বাধীনতাকে সমুন্নত রেখে লড়াই করেছে, জীবন বিসর্জন দিয়েছে, বাংলাদেশকে স্বাধীন করে ছেড়েছে।

একুশের চেতনাবাহী বইমেলা এখন বাঙালীর সংস্কৃতির অন্যতম শ্রেষ্ঠ উৎসব। জাতির মননের প্রতীক বাংলা একাডেমী আয়োজিত বইমেলা চলছে মহাসমারোহে। দেশ বিদেশ থেকে প্রচুর মানুষ আসে বাঙালীর এই নান্দনিক সাংস্কৃতিক উৎসবে। নারী-পুরুষ-শিশু-বৃদ্ধ-তরুণ আর তরুণীদের ভিড়ে মেলা প্রাঙ্গন থাকে জমজমাট।

এই আন্দোলনে অজস্র মানুষ নানাভাবে যুক্ত হয়েছিল প্রাণের চেতনায়, আবেগে ও ভাষার মর্যাদার প্রতিষ্ঠার তরে। ভাষা আন্দোলনের পটভূমিতে গান লিখেছেন আব্দুল লতিফ— ‘ওরা আমার মুখের ভাষা কাইরা নিতে চায়...’ কী অসামান্য অনুভব চেতনার নিগূড় পঙক্তি। এই গান তিনি তাঁর দরাজ গলায় গেয়েছেনও। আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর অমর পঙক্তিতো আমাদের একুশের প্রথম দরোজা খোলার সুর— ‘আমার ভাইয়ের রক্ত বাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী, আমি কি ভুলিতে পারি...।’

অনেক নারী সেই অবগুণ্ঠিত সময়ে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। যতদূর জানা যায়— নারায়ণগঞ্জের মর্গান বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমতাজ বেগম ভাষা আন্দোলনে শরীক হয়েছিলেন বলিষ্ঠভাবে। তিনি ছাত্রীদের নিয়ে মিছিল করেছিলেন ভাষা অধিকারের দাবীতে। উল্লেখ্য, মমতাজ বেগম ছিলেন হিন্দু সম্প্রদায়ের নারী। ভালোবেসে এক মুসলিম তরুণকে বিয়ে করেছিলন। ভাষা আন্দোলনে জোরালো ভূমিকা রাখার জন্য পাকিস্তান সরকার তাকে গ্রেফতার করেছিল। কিন্তু জেল থেকে মুক্তি পাবার পর তার স্বামী তাঁকে আর গ্রহণ করে নি। এই বিষয়ে গবেষণা হওয়া দরকার।

দীর্ঘকাল মমতাজ বেগমের অবাক ঘটনা লোক চক্ষুর আড়ালে ছিল। যতদূর মনে পড়ে— গত বছর সেই মহত্তম নারীকে রাষ্ট্র একুশে পদক দিয়েছে। কিন্তু বহু আগেই তিনি পরলোকগমন করেছিলেন। এখন প্রশ্ন— কে ছিল সেই মহান নারীর স্বামী? মমতাজ বেগমের গর্ভে কী কোনো সন্তান আছে? থাকলে, তারা কী মায়ের ত্যাগে গর্বিত? নাকি তারা এখনও পাক সার জমিন বাদে অবগাহিত? এ সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া খুব জরুরি।

আরও দুর্ভাগ্য হচ্ছে— পৃথিবীর মানচিত্রে এমন অবাক ঘটনা কেবল ঢাকা শহরেই ঘটেনি। একুশের শহীদের সেই মর্মদন্তু ঘটনা সেই সময়ের সারা পূর্ব বাংলায়, আজকের বাংলাদেশকে আবেগে প্রেরণায় চঞ্চল করে তুলেছিল। মফস্বলে অনেক ভাষা সৈনিক আছেন, তারা এখন জীবন মৃত্যর কাছাকাছি। তাদের কেউ মনে রাখেননি। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উচিৎ দ্রুত সেই সব ভাষা সৈনিকদের একত্র করে একটা সন্মেলনের আয়োজন করা। তাঁদের সেই সময়ের স্মৃতি লিখে রাখার ব্যবস্থা করা। আমাদের সেই মহান তারকারা এখন বৃদ্ধ, মরণের পারে, হাতে একদম সময় নেই। এখনই ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

এ বছর ভাষার মাসে চ্যানেল আইয়ের সাংবাদিক তারিকুল ইসলাম মাসুম মফস্বলের সেই সব ভাষা সৈনিকদের কর্ম-কৌশল ও স্মৃতি নিয়ে সংবাদ ভাষ্য প্রচার করছেন। যা অসামান্য একটি উদ্যোগ। কিন্তু এই উদ্যোগ একটি চ্যানেলের নয়, নেওয়া দরকার সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ।

আইজিপি থেকে পদোন্নতি হয়ে সচিব হলে তাকে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে দিতে হবে— এটা যেন এক অঘোষিত নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এবার ব্যত্যয় ঘটেছে। শুধু তাই নয়, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী হয়েছেন একজন সংস্কৃতিবান বা সংস্কৃতিজাত মানুষ— আসাদুজ্জামান নূর। ফলে এখন বাংলাদেশে বইছে সংস্কৃতির সুবাতাস।

আর বাংলা একাডেমী তো এবারের বইমেলা ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজন করে আর একটি মহত্তম দায়িত্ব পালন করেছে। বইমেলা বাংলা একাডেমীর সীমাবদ্ধ চত্বরে সংকুচিত হয়ে পড়ছিল। বাংলাদেশে এখন বিশ কোটি মানুষের দেশ। রাজধানী ঢাকায় বাস করে প্রায় দেড় কোটি মানুষ। সেই দেড় কোটি মানুষের ভার আর সইতে পারছিল না বাংলা একাডেমীর সীমাবদ্ধ চত্বর। সীমাবদ্ধ প্রাঙ্গণ থেকে মুক্তি প্রয়োজন ছিল অনিবার্যভাবে। সেই মুক্তি মিলেছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।

অমর একুশের বইমেলায় অনেক ঘটনাই ঘটে। সেই অনেক ঘটনার একটি ঘটনা লিটলম্যাগ আন্দোলন। যৌবনের পতাকাবাহী তরুণেরা নতুন চিন্তা ও চেতনায়, দ্রোহী ঐক্যতানে লিটল ম্যাগাজিন প্রকাশ করে চলেছেন সেই বায়ান্নো সাল থেকে। কিন্তু এই আন্দোলেনর প্রথম ইটটি রেখেছিলেন বাঙালীর আর সংস্কৃতি-পুরুষ কবি হাসান হাফিজুর রহমান।

হাসান হাফিজুর রহমান ছিলেন বাঙালীর সংস্কৃতি-পুরুষ। তাঁর আশ্রয়ে-প্রশয়ে সেকালের লেখকেরা বেড়ে উঠছিলেন। তিনি ছিলেন অনেকের অভিবাবক। কেউ তাঁকে এই দায়িত্ব দেয়নি, তিনি নিজে নিয়েছেন। বাংলা সংস্কৃতির বিকাশে হাসান হাফিজুর রহমান অসামান্য ভূমিকা পালন করেছেন, তাঁর কালে। একা একজন মানুষ এক হাতে অনেক কাজ করেছেন। লিখেছেন কবিতা, প্রবন্ধ ও গল্প। সম্পাদনা করেছেন বেশ কয়েকটি বইও। জীবন শুরু করেছেন সাংবাদিকতা দিয়ে— সেই ১৯৫০ সালেই, তখন তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।

হাসান হাফিজুর রহমারে জীবন ও কর্ম পর্যলোচনা করলে, আমার মনে হয়— পঞ্চাশ দশক থেকে আশির দশক ছিল তাঁরই কাল। তিনি অনেক কাজ করেছেন। একাত্তর সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হলে তিনি দৈনিক বাংলার সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি দাযিত্ব নিয়েছিলেন। মস্কোতে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস কাউন্সিলর ছিলেন। ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস লিখন প্রকল্পের প্রধান নিযুক্ত হন। এবং ৭৮ থেকে ৮২ সালের মধ্যে তিনি ষোলো খণ্ডের স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিল সম্পাদনা করেন। এতেই বোঝা যায় হাসান হাফিজুর রহমান কাজের প্রতি কতটা মনোযোগী ছিলেন। তাঁর কারণেই আমরা এখন স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাসের কিছুটা হলেও পাচ্ছি। কিন্তু আজকের প্রসঙ্গ স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্র নয়, আজকের প্রসঙ্গ তাঁর সম্পাদিত ‘একুশে ফেব্রুয়ারী’।

বায়ন্নোর ভাষা আন্দোলনে পর পরই হাসান পরিকল্পনা করেন— একুশের মর্মমূলকে ধারণ করে একটি সংকলন প্রকাশ করার। সেই পরিকল্পনার আলোয় তিনি কাজ করতে শুরু করলেন। বন্ধুদের কাছে লেখা চাইলেন। লেখাও পেলেন— লেখা প্রেসেও চলে গেছে। কিন্তু প্রেস ও কাগজের টাকা কোথায়?

সেই টাকা প্রসঙ্গে যাওয়ার আগে এক নজরে দেখে নিতে চাই— এই অমর ও পথিকৃত সংকলনে কারা ছিলেন মহার্ঘ লেখক। শুরুতেই একুশে ফেব্রুয়ারি নিয়ে আড়াই পৃষ্ঠার ভাষ্য বা সম্পাদকীয়। সকল ভাষার সমান মর্যাদা শিরোনামে আলী আশলাফের দীর্ঘ প্রবন্ধ। প্রবন্ধের পরই কবিতা লিখেছেন— শামসুর রাহমান, বোরহানউদ্দীন খান জাহাঙ্গীর, আব্দুল গনি হাজারী, ফজলে লোহানী, আলাউদ্দিন আল আজাদ, আনিস চৌধুরী, আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ, জামালুদ্দীন, আতাউর রহমান, সৈয়দ শামসুল হক ও হাসান হাফিজুর রহমান। আশ্চর্য— কারো কবিতার কোনো নাম নেই। কারণ— সব কবিতাইতো মিশেছে একুশ আর বর্ণমালার স্রোতে। সুতরাং কবিতার নাম বিদায় করে সব কবিতাকে একটি কবিতায় রূপান্তরিত করেছেন সম্পাদক হাসান হাফিজুর রহমান।

বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ক্ষেত্রে এ অভিনব এক সংযোজনও বটে। গল্প লিখেছেন— শওকত ওসমান, সাইয়িদ আতীকুল্লাহ, আনিসুজ্জামান, সিরাজুল ইসলাম ও আতোয়ার রহমান। একটি বেওয়ারিশ ডায়েরীর কয়েকটি পাতা— শিরোনামে ‘নকশা’ লিখেছেন শিল্পী মূর্তজা বশীর। সালেহ আহমদ লিখেছেন ‘অমর একুশে ফেব্রুয়ারীর রক্তাক্ত স্বাক্ষর’ নামে একটি অন্যরকম লেখা। একুশের গান লিখেছেন আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী ও তোফাজ্জল হোসেন। সবশেষে একুশের ইতিহাস লিখেছেন কবিরউদ্দীন আহমদ। এই হল তেপান্ন সালে হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত ‘একুশে ফেব্রুয়ারী’ সংকলনের লেখার আদ্যপান্ত।

একটু উপরে লিখেছি— সব লেখা প্রেসে। কম্পোজ চলছে। কিন্তু টাকা কোথায়? টাকা না হলে সংকলন প্রকাশ করবেন কীভাবে? তিনি ছুটলেন বাড়ি, জামালপুরে। মাকে বললেন তাঁর সমস্যা। মা পুত্রের হাতে তুলে দিলেন নিজের পঁয়ত্রিশ ভরি সোনার গহনা। পুত্র চলে এলেন ঢাকায়। বিক্রি করলেন মায়ের গহনা। দায় মিটল প্রেসের, কাগজ কেনা হল। ছাপা হল অমর একুশের অমর সংকলন ‘একুশে ফেব্রুযারী’। বাঙালী পা রাখলো চেতনার নতুন এক মহীসোপানে। সেই সোপানের প্রথম স্বপ্নদ্রষ্টা হাসান হাফিজুর রহমান।

আমরা তো অনেক কিছু ভুলে যাই। যেমন ভুলে গেছি নারায়ণগঞ্জের মমতাজ বেগমকে। তেমনি ভুলে গেছি হাসান হাফিজুর রহমানের মা সৈয়দা হাফেজা খাতুনকেও। মনে করুন, আজ থেকে পঁয়ষট্টি বছর আগে এক বাঙালী মা তাঁর ছেলে হাতে তুলে দিয়েছেন পঁয়ত্রিশ ভরি সোনা, একটি জাতির নতুন প্রত্যাশাকে সামনে রেখে, একটি সংকলন প্রকাশের জন্য। সেই নারী কী পেতে পারেন না একুশের পদক? হোক না মরণোত্তর— তবুও তাঁকে, সৈয়দা হাফেজা খাতুনকে অবিলম্বে একুশে পদক দেওয়ার দাবী রইল।

প্রিয় পাঠক, আমার কাছে চমক আছে। আনিসুজ্জামান ও বেলাল চৌধুরী সম্পাদিত ২০০০ সালের জুনে প্রকাশিত হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত স্মারকগ্রন্থে তাঁর সংক্ষিপ্ত জীবনীতে বেশ কয়েকটি পুরস্কারের উল্লেখ আছে, কিন্তু একুশের পুরস্কারের কোনো উল্লেখ নেই। ২০০০ সাল থেকে আজ ২০১৪ সাল, হয়তো এই সময়ের মধ্যে তিনি মরণোত্তর পুরস্কার পেয়ে থাকতে পারেন। পেলে অবশ্যই সুখের সংবাদ। কিন্ত যদি না পেয়ে থাকেন? এই মর্মবিদারক প্রশ্নের উত্তর কে দেবে?

লেখার শিরোনামের শুরুতে ‘লিটল ম্যাগাজিন’ শব্দ দু’টি লিখেছি। আজকে একুশের মেলা ঘিরে যে বাংলা একাডেমীর বর্ধমান হাউস ও প্রেস বিল্ডিংযের মধ্যেখানের বিশাল জায়গা জুড়ে লিটল ম্যাগাজিন প্রাঙ্গণ, অনেক তরুণ স্বপ্নের চালুনী হাতে লিটল ম্যাগাজিনে সাহসের অনু কণা প্রকাশ করে চলেছেন, তাঁর প্রথম বীজটি রোপন করেছিলেন, অবশ্যই হাসান হাফিজুর রহমান, তিপান্ন সালে ‘একুশে ফেব্রুয়ারী’ প্রকাশ করে। ইতিহাসে দেখা গেছে কেউ না কেউ বীজ বুনে যায়, তিনি হয়তো থাকেন না, কিন্তু তার চেতনার উত্তরাধিকারী যারা থাকেন, তারা সেই সোপান বেয়ে চলেন। এখনকার লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদক তরুণেরা অবশ্যই হাসান হাফিজুর রহমানের যোগ্য উত্তরসূরী।

শেষ করবার আগে ‘একুশে ফেব্রুয়ারী’ সংকলন থেকে হাসান হাফিজুর রহমানের লেখা কয়েকটি লাইন পাঠকদের পুনঃপাঠের জন্য নিবেদন করছি— ‘একুশে ফেব্রুয়ারী পূর্ব-পাকিস্তানের মৃদু গণতান্ত্রিক আন্দোলনেরই জোয়ার সৃষ্টি করেনি, সাংস্কৃতিক আন্দোলনের ক্ষেত্রেও এনেছে দিগন্ত বিসারী প্লাবন। প্রতিক্রিয়ার নির্মম হিংসা ও লোভের আগুন থেকে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিকে বাঁচাবার জন্য দেশ জুড়ে জনতার যে দুর্জয় ঐক্য গড়ে উঠেছে পূর্ব পাকিস্তানের ইতিহাসে তার কোনো নজীর নেই। ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি এই দরদ পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের নতুন গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক বিকাশের বিপুল সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে— আপামর মানুষের মনে আমাদের সাহিত্য শিল্প সংস্কৃতিকে নতুন সম্ভাকনার পথে নিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যুগিয়েছে।’

একুশে ফেব্রুয়ারী, হাসান হাফিজুর রহমান ও আমাদের তারণ্যের লিটল ম্যাগাজিন— অমর একুশের বিপুল স্রোতধারার আর একটি বিকল্প স্রোত, যে স্রোত বাঙালীর কৃষ্টি ও সভ্যতার সতত বাহন।

লেখক : কথাসাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক