মালয়েশিয়া প্রতিনিধি : বহুল আলোচিত 'জিটুজি প্লাস' পদ্ধতিতে প্রথম ধাপে ৯৬ বাংলাদেশি কর্মী মালয়েশিয়ায় পৌঁছেছেন। বাংলাদেশ সময় শনিবার (১১ মার্চ) দেশটিতে পৌঁছান তারা। এর মধ্যদিয়ে সরকারী প্রক্রিয়ায় মালয়েশিয়ায় আবারও উন্মুক্ত হলো বাংলাদেশের শ্রমবাজার।

এর আগে ১০ মার্চ (শুক্রবার) রাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিজি-০৮৬ ফ্লাইটে রওনা হন তারা। কর্মীদের সঙ্গে এসময় রওনা হন জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) কর্মকর্তারা। যারা ইতিমধ্যে কর্মীদেরকে হস্তান্তর করেছেন তাদের নিয়োগকর্তাদের কাছে।

এদিনে মালেশিয়া বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম শেষে তাদের বুঝে নেন রিফ্লেকস কেয়ার এমএসডিএন বিএইচডির নিয়োগকর্তা, ডিরেক্টর দাতু রাধা কৃষ্ণান এবং জিএসএমের নিয়োগকর্তা ফাইজাল ওসমান।

এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শহিদুল ইসলাম এবং দূতাবাসের শ্রম শাখার কাউন্সিলর সায়েদুল ইসলাম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, শ্রম মন্ত্রণালয় ও ইমিগ্রেশন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

হস্তান্তর প্রক্রিয়াশেষে হাইকমিশনার শহিদুল ইসলাম বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘বিভিন্ন ফোরামে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বি-পাক্ষিক আলোচনা ও অক্লান্ত প্রচেষ্টায় শ্রম রফতানি শুরু হয়েছে। তবে যারা আসবেন তারা আমাদের দেশের নাগরিক হিসেবে তাদেরকে দেখভাল করার দায়িত্ব হাইকমিশনের।’

এসময় শ্রমিকদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘কোনো ধরনের খারাপ আচরণ করবেন না, যাতে করে বাকিদের আসার ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি হয়। কোনো ধরনের সমস্যা হলে দূতাবাসের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান করবেন।’

এক প্রশ্নের জবাবে হাইকমিশনার বলেছেন, ‘দালাল বা মধ্যস্বত্বভোগীদের হাতে যাতে হয়রানি না হতে হয়, সে ব্যাপারে তাদের সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। আর আমাদের দেশের সাধারণ শ্রমিকরা এসে দুই পয়সা ইনকাম করে দেশে পাঠাতে পারেন সে ব্যবস্থাই করেছে বাংলাদেশ সরকার।’

প্রথমধাপের কর্মীদের অগ্রণী ব্যাংকের সৌজন্যে একটি করে টি-শার্ট এবং বিমান বাংলাদেশ বিমানের পক্ষ থেকে একটি করে সিম প্রদান করেন রাষ্ট্রদূত। এ সময় বাংলাদেশি শ্রমিকরা মালয়েশিয়ায় কাজ শুরু করার আগে দেশবাসীর কাছে দোয়া চান।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে কলিং ভিসা চালুর পর ২০০৯ সালের ১০ মার্চ পর্যন্ত সরকারি হিসেব মতে ৮ হাজার ২শ পঞ্চাশ জন কর্মী আসার পর মালয়েশিয়ার শ্রম মন্ত্রণালয় চিঠি দিয়ে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেয়া বন্ধ করে দেয়। তবে দীর্ঘ বিরতির পর আবারও ‘জিটুজি প্লাস’ পদ্ধতিতে শ্রমিকদের প্রথম দলটি মালয়েশিয়ায় পৌঁছালো।

(দ্য রিপোর্ট/এজে/মার্চ ১১, ২০১৭)