টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ফরিদ হত্যাকাণ্ডে আরও দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ।

 

মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) রাতে টাঙ্গাইল জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহায়তায় (ডিবি) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকার গুলশান থেকে তাদের গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন-অলোয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও অলোয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক নুরুল ইসলাম ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক তাহেরুল ইসলাম তোতা।

টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অশোক কুমার সিংহ জানান, ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ফরিদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রথমে গ্রেফতারকৃত আসামি কিশোর মাইনুল হাসান মাসুদ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পর অলোয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের ইটভাটার ম্যানেজার শওকত রেজা সৈকতকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে গ্রেফতারের পরে আদালতে হাজির করা হলে সেও ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

তিনি আরও জানান, আসামি শওকত রেজা ওরফে সৈকত তার স্বীকারোক্তিতে হত্যাকাণ্ড অংশ নেওয়া আরও কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে। তারই সূত্র ধরে আরেক আসামি মকবুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মকবুলও আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল সোয়া পাঁচটার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকার গুলশান এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তিনি জানান, মামলার দ্বিতীয় এজাহারে নুরুল ইসলাম ও তাহেরুল ইসলামের নাম ছিল বলে তিনি জানান। মামলায় তাদের নাম আসার পর থেকেই এই দুই আসামি আত্মগোপনে ছিল।

তিনি আরও জানান, পূর্বে গ্রেফতারকৃত আসামিদের স্বীকারোক্তিতে এই দুজন হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ও অর্থের জোগানদাতা হিসেবে চিহ্নিত হয়। গ্রেফতারকৃতদের ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল নিয়ে আসা হচ্ছে। আসামিদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে বলেও তিনি জানান।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ ডিসেম্বর রাতে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হন আওয়ামী লীগ নেতা রকিবুল ইসলাম ফরিদ। পরদিন ভোরে স্থানীয়রা বাড়ির পাশে একটি পুকুরে তার লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে আওয়ামী লীগ নেতা ফরিদের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে।

(দ্য রিপোর্ট/এম/এনআই/মার্চ ১৫, ২০১৭)