দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : দ্বিতীয় দফায় ‘জিটুজি প্লাস’ পদ্ধতিতে মালয়েশিয়ায় গেলেন ১৩৬ জন কর্মী। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হতে বুধবার রাত ৮টায় পৃথক দুটি বিমানের ফ্লাইটে কুয়ালালামপুরের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। এর মধ্যে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে ১১২ জন এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে ২৪ জন যাত্রী রয়েছেন। এরা সবাই মালয়েশিয়ায় ফ্যাক্টরি, ফার্নিচার, বিমানবন্দরে কার্গো লোডারসহ বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করবেন।

বুধবার রাতে এসব তথ্য নিশ্চিত করে রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকদের সংগঠন বায়রা মহাসচিব রুহুল আমিন স্বপন দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, পর্যায়ক্রমে মালয়েশিয়ায় কর্মী যাওয়ার হার আরও বাড়বে।

এর আগে গত ৯ মার্চ রাতে 'জিটুজি প্লাস' পদ্ধতিতে প্রথম ধাপে ৯৮ জন কর্মী যাওয়ার মধ্য দিয়ে বড় পরিসরে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের শ্রমবাজারের দ্বার উন্মোচন হয়।

উল্লেখ্য, রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর নানা অনিয়মের ফলে ২০০৯ সালে মালয়েশিয়ার কলিং ভিসা বন্ধ হয়ে যায়। ২০১২ সাল থেকে শুধুমাত্র সরকারিভাবে (জিটুজি) দেশটিতে কর্মী পাঠাতে উভয় দেশের মধ্যে চুক্তি সম্পাদন হয়। তবে জিটুজি পদ্ধতি ফ্লপ করার করায় ২০১৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি সরকারের পাশাপাশি বেসরকারিভাবে কর্মী পাঠানোর সুযোগ রেখে মালয়েশিয়ার সঙ্গে ‘জিটুজি প্লাস’ চুক্তি সই করে বাংলাদেশ। কিন্তু, চুক্তির পরদিনই মালয়েশিয়া সরকার বিদেশি কর্মী নেওয়া বন্ধ ঘোষণা করে। কয়েক মাস আগে সেই ঘোষণা প্রত্যাহার করে মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ। এর পরই জিটুজি প্লাস চুক্তির আলোকে কর্মী নিয়োগের বিষয়টি সামনে চলে আসে। এরই ধারাবাহিকতায় বড় পরিসরে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো শুরু হয়।

(দ্য রিপোর্ট/কেএ/এপি/এনআই/মার্চ ১৫, ২০১৭)