দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্মদিবস উদযাপন উপলক্ষে শুক্রবার (১৭ই মার্চ) নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে বাংলা একাডেমি । এদিন সকাল ৭ টায় ধানমন্ডির ৩২নং সড়কে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে একাডেমির পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিনের কার্যক্রম শুরু হয়।

সকাল ১০টা ৩০মিনিটে বাংলা একাডেমির বটতলায় আয়োজন করা হয় শিশু-কিশোর অনুষ্ঠান ‘বঙ্গবন্ধুর গল্প শোনো’। এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে শিশু-কিশোরদের বঙ্গবন্ধুর গল্প শোনান বিশিষ্ট নাট্যজন অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদ, কবি আসাদ চৌধুরী, কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, নাট্যজন লাকী ইনাম, নাট্যজন ও অনুবাদক খায়রুল আলম সবুজ, কবি শামীম আজাদ এবং ডা. নুজহাত চৌধুরী। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সুভাষ সিংহ রায়।

বিকেল ৪ টায় একাডেমির নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘বঙ্গবন্ধু : ব্যক্তি, রাজনীতিবিদ ও রাষ্ট্রনায়ক’ শীর্ষক একক বক্তৃতানুষ্ঠান। বঙ্গবন্ধু বিষয়ে একক বক্তৃতা প্রদান করেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও লেখক সৈয়দ বদরুল আহসান। সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।

একক বক্তৃতায় সৈয়দ বদরুল আহসান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর বিশ্বাস বরাবরই ছিল সাংবিধানিক এবং নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে। ছয় দফা তারই প্রমাণ। তিনি সবসময় অবাধ নির্বাচনের কথা বলেছেন- জনগণের আস্থাকে তার রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে বিবেচনা করেছেন। আপস তিনি কখনো করেন নি। সবার সঙ্গে কথা বলেছেন, সবার মতামত নিয়েছেন এবং সেই মতামতের ভাল দিক তিনি সানন্দে গ্রহণ করেছেন। নিজের মতে অবিচল থেকে, ইস্পাতদৃঢ় নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে সম্ভব করে তুলেছেন।’

তিনি আরো বলেছেন, ‘রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত তার সরকারের কূটনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন। তার পররাষ্ট্রনীতির মূল ভিত ছিল-সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গেই বৈরিতা নয়।’

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিবস বাঙালি জাতির জন্য অপরিসীম আনন্দের দিন। কারণ এইদিনে জন্ম নিয়েছেন এমন এক শতাব্দীশ্রেষ্ঠ বাঙালি যিনি হাজার বছরের ইতিহাসে এই জাতির জন্য একটি ভাষাভিত্তিক, অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র উপহার দিয়ে গেছেন।'

(দ্য রিপোর্ট/পিএস/জেডটি/মার্চ ১৭, ২০১৭)