জোসনা জামান, দ্য রিপোর্ট : হালদা নদীর ভাঙন থেকে চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও রাউজান উপজেলাকে রক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২১২ কোটি ৭৯২ লাখ টাকা।  এটি বাস্তায়নের মাধ্যমে রাস্তা উচুঁ করে প্রকল্প এলাকায় ভাঙন ও জোয়ারের পানি প্রবেশ ঠেকানো সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানা গেছে, চট্রগ্রাম জেলার হাটহাজারী ও রাউজান উপজেলায় হালদা নদীর উভয় তীরের ভাঙন থেকে বিভিন্ন এলাকা রক্ষাকল্পে তীর সংরক্ষণের কাজ শীর্ষক প্রকল্পটি ইতোমধ্যেই প্রক্রিয়াকরণ শেষ করা হয়েছে। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) আগামী সভায় তা অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে। অনুমোদন পেলে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো)।

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, হালদা নদী খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার বাদনাতলী নামক স্থান থেকে উৎপত্তি হয়ে চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলায় প্রবেশ করে হাটহাজারী ও রাউজান উপজেলার মধ্যবর্তী স্থান দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কর্ণফুলী নদীতে পতিত হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য জেলাগুলোয় অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট পাহাড়ী ঢলের প্রভাবে হাটহাজারী ও রাউজান উপজেলাস্থ হালদা নদীর উভয় তীরবর্তী বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, রাস্তাঘাট, বসতভিটা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন এলাকা মারাত্মক ভাঙনের শিকার হয়েছে। এ সমস্য সমাধানে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ২০১৫ সালে একটি কারিগরি কমিটি গঠন করে। এই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হচ্ছে।

প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রমগুলো হচ্ছে-১২ দশমিক ১২০ কিলোমিটার নদীর তীর সংরক্ষণ, ৬ কিলোমিটার মাটির বাঁধ নির্মাণ, ১৫ কিলোমিটার মাটির বাঁধ পুনরাকৃতিকরণ, ৪ হাজার ৮ কিলোমিটার বিদ্যমান রাস্তা কাম বাঁধের উচ্চতা উন্নীতকরণ, ৫৫০ মিটার ফ্লাড ওয়াল নির্মাণ এবং ১ দশমিক ৪০ হেক্টর ভূমি অধিগ্রহণ করা।

এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য এ.এন.সামসুদ্দিন আজাদ চৌধুরী পরিকল্পনা কমিশনের মতামত দিতে গিয়ে বলেছেন, ‘প্রস্তাবিত প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী ও রাউজান উপজেলায় হালদা নদীর উভয় তীরে প্রতিরক্ষা, বাঁধ নির্মাণ পুনরাকৃতি এবং রাস্তা উচুঁকরণ এর মাধ্যমে প্রকল্প এলাকা ভাঙন ও জোয়ারের পানি প্রবেশ থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে। তাই প্রকল্পটি অনুমোদনযোগ্য।’

(দ্য রিপোর্ট/জেজে/ জেডটি/মার্চ ২০, ২০১৭)