কালের গর্ভে হারাল আরেকটি বছর ‘১৪২৩’। এসেছে সম্ভাবনা ও স্বপ্ন পূরণের আশ্বাসে নতুন বছর ‘১৪২৪’। এসেছে বৈশাখ।

প্রকৃতির রুদ্র রূপ এবার আরেকটু বেড়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ছোঁয়ায় এ বছর একটু বেড়েছে তাপমাত্রা। বরফ গলে আগের বছরের তুলনায় পানিতে তলিয়ে গেছে সমুদ্রতটের কিছু অংশ। এর মধ্যে থেকেই বৈশাখের কাছে সব গ্লানি ও জরা জীর্ণ ধুয়ে মুছে যাওয়ার প্রত্যাশা আমাদের।

গ্লানি ঘুচুক বা নাই ঘুচুক, নতুন বছরে যুক্ত হবে নতুন নতুন প্রাণ, নতুন ভালবাসা। নতুন প্রাণ নিয়ে আমরা চাই এগিয়ে যেতে। এগিয়েও যাচ্ছি। বাংলাদেশে ধর্মীয় বা রাজনৈতিক ভিন্নতা থাকলেও বৈশাখী উৎসবকে ঘিরে সব পথ, সব মত এক মোহনায় মিলিত হয়। ধর্মীয় বিভাজন ঝেড়ে ফেলে বাংলাদেশের সব মানুষ মিলিত হন রমনার বটমূলে বা নিজ গ্রামের হাটের বা কোনো বটতলার মেলায়। স্বাধীন বাংলাদেশের বাঙালি হিসেবে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।

তাই এই উৎসবকে ঘিরে কেনাকাটা এখন নতুন রূপ নিয়েছে। ঈদ বা পূজাকে সামনে রেখে যে ধরনের কেনাকাটা চলে, বাংলা নববর্ষ উপলক্ষেও এখন সে ধরনের কেনাকাটা শুরু হয়েছে। মধ্য বা নিম্নবিত্ত গৃহস্থের জন্য এটা যেমন বাড়তি আনন্দের, তেমনি এখন বাড়তি বোঝাও বটে। এ কারণে আমরা তিন বছর আগে বৈশাখী ভাতা দেওয়ার যৌক্তিকতা তুলে ধরেছিলাম। এর যৌক্তিকতা বুঝতে পেরে একবছর আগে সরকারিভাবে ঘোষিত হয়েছে মূল বেতনের ২০ শতাংশ উৎসব ভাতা। দ্য রিপোর্টসহ ১৪টি মিডিয়া এ বছর এই বৈশাখী ভাতা দিয়েছে। দ্য রিপোর্ট ইউনাইটেড মিডিয়া লিমিটেড থেকে প্রকাশিত হয়। ইউনাইটেড মিডিয়া প্রাইম ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান।

প্রাইম ফাইন্যান্সের মতো বিভিন্ন বেসরকারি অফিসেও এ ভাতা দেওয়া শুরু হয়েছে। আশা করি, এর মধ্যে দিয়ে বাঙালির ঘরে ঘরে বৈশাখ আরও আনন্দদায়ক হয়ে উঠবে।

সরকারের নানা স্বস্তিকর উদ্যোগ থাকলেও সম্প্রতি কয়েকটি ঘটনায় জঙ্গিবাদ নিয়ে মানুষের উৎকণ্ঠা উৎসবে মেতে ওঠার স্বতঃস্ফূর্ততাকে কিছুটা হলেও বিঘ্নিত করতে পারে। নতুন বছরটা হোক সব ধরনের সহিংসতামুক্ত, অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উদ্ভাসিত।

দ্য রিপোর্টের পাঠক, লেখক, বিজ্ঞাপন দাতাসহ শুভানুধ্যায়ীদের ১৪২৪ বঙ্গাব্দের শুভেচ্ছা। শুভ নববর্ষ।

সম্পাদক, দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকম