দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : প্রতিবছরের মতো এবারও ঢাকায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত পেশাদার সাংবাদিকদের সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) প্রাঙ্গণে উৎসব মুখর পরিবেশে ‘বাংলা নববর্ষ ১৪২৪’ উদযাপনের নানা কর্মসূচি চলছে।

 

সকাল ৯টা থেকে ডিআরইউ সদস্য এবং পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বর্ষবরণের এ কর্মসূচি শুরু হয়। বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠানটি শেষ হবে।

এবারের বর্ষবরণ আয়োজনে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী, বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তি, ব্যবসায়ী ও সাংবাদিকরা উপস্থিত থেকে বর্ণাঢ্য এই আয়োজনকে প্রাণবন্ত ও উৎসবমুখর করে তুলবেন।

সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত লুচি-সবজি, মুড়ির মোয়া, জিলাপি, কদমা ও বাতাসা দিয়ে সকালের নাস্তার ব্যবস্থা করেছে ডিআরইউ কর্তৃপক্ষ। সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়েছে সঙ্গীতানুষ্ঠান। ডিআরইউ’র ‘সারেগামার’ শিক্ষার্থী ও আমন্ত্রিত দেশবরেণ্য শিল্পীরা সাংস্কৃতিক পরিবেশনা করছেন। এ ছাড়াও রয়েছে টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী ‘সঙযাত্রা’। এর মাঝেই দুপুর ১টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত মধ্যাহ্নভোজ চলবে।

সকালে অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্যে ডিআরইউ সভাপতি সাংখাওয়াত হোসেন বাদশা বলেন, ‘এবারও আমরা সাদা ভাতের সঙ্গে সরষে ইলিশের ব্যবস্থা করেছিলাম। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেহেতু বৈশাখী উৎসবে ইলিশ না খাওয়ার জন্য উৎসাহিত করেছেন, তাই তার প্রতি সন্মান জানিয়ে আমরা আমাদের খাবারের মেনু থেকে ইলিশ বাদ দিয়েছি। সাদা ভাতের সঙ্গে ইলিশের পরিবর্তে রুই মাছ থাকছে। তবে, খাবার মেনুতে আগের মতোই বেগুন ভাজি, শুঁটকি ভর্তা, সবজি ও আম ডাল রয়েছে।’

এ সময় ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক মুরসালিন নোমানী, পহেলা বৈশাখ-১৪২৪ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও ডিআরইউ যুগ্ম সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন এবং সদস্য সচিব ও ডিআরইউ সাংস্কৃতিক সম্পাদক মিজান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

মঞ্চের সামনে ডিআরইউ-এর বর্তমান ও সাবেক নেতা, সিনিয়র সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন।

(দ্য রিপোর্ট/কেএ/আরএমএম/এম/এপ্রিল ১৪, ২০১৭)