দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : কোন দেশের বাচ্চা দুষ্টু বেশি, কথায় কথায় কাঁদে? আর কোন দেশের বাচ্চারা বেশ লক্ষ্মী, কান্নার কোনও নাম-গন্ধ নেই? এটাই ছিল গবেষণার বিষয়।

বিশ্ব জুড়ে প্রায় ন’হাজার বাচ্চার উপর চালানো সাম্প্রতিক সমীক্ষা জানাচ্ছে ব্রিটিশ বাচ্চারাই নাকি সবচেয়ে ‘ছিঁচকাঁদুনে’। শুধু ব্রিটেনই নয়, এই তালিকায় রয়েছে আরও বেশ কয়েকটি দেশ।

ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের দাবি, ব্রিটিশ, ইতালীয় আর কানাডার বাচ্চাদের মধ্যে কান্নার মাত্রা সবচেয়ে বেশি। অন্য দিকে, ডেনমার্ক, জার্মানি এবং জাপানের বাচ্চাদের মধ্যে কান্নার মাত্রা অনেক কম।

বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, জিনের রেঞ্জিং, প্যারেন্টিং প্যাটার্ন এবং গর্ভবতী অবস্থায় মায়ের মনের অবস্থার ভিত্তিতেই শিশুর মধ্যে কান্নার মাত্রা বাড়ে-কমে। সমীক্ষায় প্রায় সাতটি দেশের ৮,৭০০ বাচ্চাকে তিন মাস বয়স পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। দেখা গিয়েছে, সদ্যোজাত ব্রিটিশ বাচ্চাদের মধ্যে ‘বেবি কলিক’-এর মাত্রা বেশি। অর্থাৎ এই সমস্ত বাচ্চারা দিনে অন্তত তিন ঘণ্টা, সপ্তাহে তিন দিন এবং মাসে তিন সপ্তাহ কাঁদে।

ব্রিটেন, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, কানাডার বাচ্চাদের মধ্যে ‘বেবি কলিক’-র হার বেশি। তার মধ্যে ব্রিটিশ বাচ্চাদের মধ্যে এর হার সর্বাধিক। অন্য দিকে, ডেনমার্ক এবং জার্মানির বাচ্চাদের মধ্যে ‘বেবি কলিক’ অর্থাৎ কান্নার হার তুলনায় অনেক কম।

দেখা গিয়েছে, ডেনমার্কের বাবা-মায়ের মধ্যে ‘স্ট্রেস’ থাকে কম। এমনকী ডেনমার্কের মায়েরা মাতৃত্বকালীন ছুটির পান ৫২ সপ্তাহ। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই সমস্ত কারণেই ড্যানিশ শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত হয়।

সাধারণত জন্মের প্রথম দুই সপ্তাহে দিনে গড়ে দু’ঘণ্টা করে কাঁদে বাচ্চারা। এর পরের ছয় সপ্তাহ পর্যন্ত দিনে গড়ে ২ ঘণ্টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত কাঁদে বাচ্চারা। এর পর থেকেই বাচ্চার কান্নার মাত্রা ধীরে ধীরে কমতে থাকে।

তবে এর ব্যতিক্রমও আছে। অনেক বাচ্চাই দিনে মাত্র ৩০ মিনিট কাঁদে। আবার অনেক শিশু ৫ ঘণ্টারও বেশি কাঁদে দিনে।

(দ্য রিপোর্ট/এফএস/এপ্রিল ১৭, ২০১৭)