দিনাজপুরে বয়লার বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩
দিনাজপুর প্রতিনিধি : দিনাজপুরে অটো রাইস মিলের বয়লার বিস্ফোরণের ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে আরিফুল ইসলাম (৩০) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে বুধবার রঞ্জনা রানী রায় (৪০) ও মোকসেদ আলী (৪৮) নামে দুই শ্রমিক মারা যান। বয়লার বিস্ফোরণে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে তিনজনে। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন আরও ১৯ জন।
নিহতদের বাড়ি দিনাজপুর সদর উপজেলার চাঁদগঞ্জ গ্রামে। তারা রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বান অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মারুফুল ইসলাম জানান, বয়লার বিস্ফোরণের ঘটনায় দিনাজপুর থেকে ২১ জন রোগীকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে এ পর্যন্ত তিন জন মারা গেছেন। বাকি ১৯ জনের প্রায় সবারই শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এদিকে বয়লার বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্তে দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমানকে প্রধান করে ৬ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে দিনাজপুর জেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে কাজ তদন্ত কমিটি শুরু করেছে।
কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন-দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. কাজেম উদ্দীন, দিনাজপুর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক লিয়াকত আলী, কলকারখানা পরিদর্শক, দিনাজপুর শিল্প ও বণিক সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম ও বয়লার পরিদর্শক হুমায়ুন কবীর।
কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
কমিটির প্রধান অতিরক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে তিনি কমিটির সদস্যদের নিয়ে একটি সভা করেছেন।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে দিনাজপুর সদর উপজেলার গোপালগঞ্জ শেখহাটি এলাকায় সুবল ঘোষের মালিকানাধীন যমুনা অটোরাইস মিলে বয়লার বিস্ফোরণ ঘটলে ৩০ জন দগ্ধ হন। দিনাজপুর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থল থেকে দগ্ধ ৩০ জনকে উদ্ধার করে দিনাজপুরের এম আবদুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক ২১ জনকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
(দ্য রিপোর্ট/এস/এপ্রিল ২০, ২০১৭)