র্যাব পরিচয়ে ডিবির অভিযান, তদন্ত কমিটি গঠন
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : রাজধানীতে জুয়ার আসরে র্যাব পরিচয়ে ডিএমপির গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগের (ডিবি) কয়েক সদস্যের অভিযানের ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক।
তিনি বলেছেন, ‘এ তদন্ত কমিটিকে তিন কার্য দিবসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। কমিটির দুই কার্যদিবস অতিবাহিত হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষে কমিটি যে রিপোর্ট দেবেন তার উপর ভিত্তি করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
রাজধানীর মিরপুর-১৪ নম্বরে পুলিশ স্টাফ কলেজে বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) রাতে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে কর্মক্ষেত্রে নারী পুলিশের অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ উইমেন অ্যাওয়ার্ড-২০১৭ প্রদান অনু্ষ্ঠানে আইজিপি এসব কথা বলেছেন।
শহীদুল হক আরো বলেছেন, ‘বিষয়টি যেহেতু ডিএমপির তাই খতিয়ে দেখতে ডিএমপি একটি ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটিকে তিন কার্য দিবসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, কাফরুলের কচুক্ষেতের ব্যায়ামাগার এলাকায় মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে সহকারী কমিশনার রুহুল আমিনের নেতৃত্বে ডিবির পূর্ব বিভাগের একটি দল মাইক্রোবাস নিয়ে 'অভিযান' চালাতে যায়। অভিযোগ ওঠেছে, রুহুল আমিন একটি ক্লাবে নিজেকে র্যাব-৪ এর মেজর পদমর্যাদার কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে সবাইকে গ্রেফতার করারও হুমকি দেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন আরও ৭-৮ জন পুলিশ সদস্য। চারজনকে আটক করে গাড়িতে উঠিয়ে সেনানিবাস এলাকায় ঢুকে পড়ে ওই দলটি। পরে কাফরুল থানা পুলিশ জানতে পেরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। থানার ওসি শিকদার মো. শামীম হোসেন বিষয়টি মিলিটারি পুলিশকে জানালে ওই গাড়ি শনাক্ত করে তা আটক করেন তারা। ডিবির দলটিকে পুলিশের হেফাজতে দেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তারা জানায়, র্যাব নয়; তারা ডিবির পূর্ব বিভাগের সদস্য।
এ ঘটনায় জড়িত সাত পুলিশ সদস্যকে বুধবার সাসপেন্ড করা হয়। ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) জামিল আহমেদকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন-ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) কৃষ্ণপদ রায় ও মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আহম্মেদ। কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ব্যক্তির দায় কখনো পুলিশ বাহিনী নেবে না। শৃঙ্খলা পরিপন্থী যে কোনো কাজে জড়ালে তার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়। অভিযোগ পাওয়ার পরপরই কাফরুলের ঘটনায় সাত পুলিশ সদস্যকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/জেডটি/এপ্রিল ২০, ২০১৭)