আমান উল্লাহ ও বাহরাম খান দিরিপোর্ট২৪ : ঘটনাবহুল ৭ নভেম্বর। ১৯৭৫ সালের এইদিনে বাংলাদেশের ইতিহাস নতুন দিকে মোড় নেয়। একই বছরের ১৫ আগস্ট তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়। এই দিন থেকেই বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতা নিয়ে প্রকাশ্য ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু হয়। ৭ নভেম্বর এর যবনিকাপাত ঘটে। যদিও ৭ নভেম্বরকে কেন্দ্র করে বিতর্কের সুরাহা এখনো হয়নি। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এই দিনটিকে ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ হিসেবে পালন করে।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) পালন করে ‘সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে। অন্যদিকে বাংলাদেশের প্রাচীনতম দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এই দিনটিকে ‘মুক্তিযোদ্ধা হত্যা দিবস’ হিসেবে অভিহিত করে। এই দিনটিকে গুরুত্ব দিয়ে বিএনপি এবং জাসদ সারাদেশে আলোচনা সভা ও মিছিল-মিটিংয়ের আয়োজন করে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করা না হলেও তাদের সমর্থিত বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন এই দিনটিকে মুক্তিযোদ্ধা হত্যা দিবস অভিহিত করে অনুষ্ঠান করে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ দিরিপোর্ট২৪কে বলেন, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর যেসব মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাৎবরণ করেছিলেন আমরা তাদের স্মরণে এই দিনটি পালন করে থাকি। তাদের স্মরণে বিভিন্ন আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

৭ নভেম্বর সম্পর্কে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য নূহ-উল-আলম লেনিন দিরিপোর্ট২৪কে বলেন, ৭ নভেম্বর প্রতিবিপ্লবের দিন। এই দিনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী এবং বিশেষ করে মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করা হয়েছে। ক্যু-পাল্টা ক্যু’র মাধ্যমে এদিন প্রতিবিপ্লবীরা বাংলাদেশের ক্যালেন্ডারে একটি কালো দিবস যুক্ত করেছে।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী দিরিপোর্ট২৪কে বলেন, ৭ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধা হত্যা দিবস। শত শত মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার চেতনাকে ভিন্নপথে পরিচালিত করতে চেয়েছে একটি অশুভ চক্র। আমরা দলগতভাবে এই দিনে কেন্দ্রীয় কোনো কর্মসূচি পালন করছি না। আমাদের মতের সঙ্গে সহমত পোষণকারী সামাজিক-সাংস্কৃতিক বিভিন্ন সংগঠন এই দিনে বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করে। আমাদের দলের সিনিয়র নেতারা সেসব কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকেন।

(দিরিপোর্ট২৪/এইউ/বিকে/এইচএসএম/নভেম্বর ০৭, ২০১৩)