দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমে সংসদে হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সরকারি ও বিরোধী দলীয় এমপিরা। আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেন, দেশের একমাত্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাথরুমের যে অবস্থা, লাগেজের যে অবস্থা, সিঁড়ি দিয়ে নামা যায় না, নোংরা পরিবেশের কারণে। একটা মন্ত্রণালয় যদি বিমানবন্দর পরিষ্কার না রাখতে পারে, তাহলে তার কাজটা কী? সে মন্ত্রণালয় পর্যটনের কি উন্নতি করবেন, সে প্রশ্নও তোলেন তিনি।

জাতীয় পার্টির এমপি কাজী ফিরোজ রশিদ কক্সবাজারে পর্যটনশিল্পের বেহাল অবস্থা তুলে ধরে জানতে চান, সব কাজই যদি প্রধানমন্ত্রীকেই করতে হয়, তাহলে এতোগুলো মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রীর কাজ কী?

তবে এসব অভিযোগের সাথে একমত হননি মন্ত্রী।

জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে মঙ্গলবার সম্পূরক প্রশ্ন করতে গিয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমে সংসদে এভাবেই হতাশা ও ক্ষোভের কথা উঠে আসে।

শামীম ওসমান (নারায়ণগঞ্জ-৪) বলেন, সারাদেশে ট্যুরিজমের কি হচ্ছে সেটা আমরা সবাই জানি। কয়েকদিন আগে আমি বিদেশ থেকে এসেছি। আমার সাথে কয়েকজন বিদেশি মেহমানও ছিলেন। আমাদের একমাত্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের বাথরুমের যে অবস্থা দেখলাম, তা লজ্জাজনক। লাগেজের অবস্থা তো আরো খারাপ। বিমান বন্দরের সিঁড়ির দিয়ে নামা যায় না- নোংরা পরিবেশের কারণে। একটা বিমানবন্দর যদি পরিষ্কার না রাখা যায়, তাহলে মন্ত্রণালয়ের কাজটা কী? এ মন্ত্রণালয় পর্যটনের কি উন্নতি করবে?

এর জবাবে বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, আমি প্রশ্নকর্তার সঙ্গে এ বিষয়ে একমত নই। আমাদের ওখানে নিয়মিত মনিটরিং করা হয়ে থাকে। পরিচ্ছন্নতার কথা ঠিক নয়। যে সমস্যা আছে সেটা হলো লাগেজ সমস্যা। লাগেজ পেতে দেরি হয়। এটা আমাদের নতুন বিল্ডিং অবকাঠামোর কারণেই সমাধান করা যাচ্ছে না। লাগেজ উপরে ওঠাতে সমস্যা হচ্ছে। এছাড়া মাঝে মধ্যে সিবিএর কর্মবিমুখ ভূমিকার কারণেও সমস্যা হচ্ছে। এসময় তিনি অভিযোগ উত্থাপনকারী এমপিকে নিয়ে বিমানবন্দর ঘুরিয়ে আনার প্রস্তাব করেন।

অপর এক সম্পূরক প্রশ্নে জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশিদ কক্সবাজার এলাকায় পর্যটনের বেহাল অবস্থার বিবরণ দিয়ে জানতে চান, সবই যদি প্রধানমন্ত্রী করবেন, তাহলে এতোগুলো মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রীর দরকার কী? জবাবে মন্ত্রী বলেন, সার্ফিং এর জন্য সুনির্দিষ্ট একটি জায়গা যদি চান তাহলে এক্সক্লুসিভভাবে একটি জায়গা দেওয়া হবে।

এর আগে ফখরুল ইমামের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে রাশেদ খান মেনন বলেন, আমাদের এডিপির গড় অগ্রগতি ৪৫। আর বিমান মন্ত্রণালয়ের গড় ৩৯। আশা করি এই দুই মাসে অগ্রগতি করে ৬০ এ উপনীত হতে পারবো। আর সুপ্রিম কোর্টের মূর্তি আমার মন্ত্রণালয়ের অধীনে নয়, কাজেই এ বিষয়ে আমি কিছু বলবো না।

(দ্য রিপোর্ট/কেএ/এপি/মে ০২, ২০১৭)