দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ২০১০ থেকে ২০১৩ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত ৭৯০ জন নারী ও শিশু অ্যাসিড সন্ত্রাসের শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের মিডিয়া বাজার হলে সোমবার বিকেলে অ্যাসিড সারভাইভারস ফাউন্ডেশনের (এএসএফ) উদ্যোগে আয়োজিত চার দিনব্যাপী এক সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। বিশ্বের ৬টি দেশের অ্যাসিড সারভাইভারস ফাউন্ডেশনের ৯০ জন প্রতিনিধির সমন্বয়ে এ সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

চুমকি বলেন, ‘এদের মধ্যে ৫৯৬ জন নারী ও ১৯৪ জন শিশু। যারা অ্যাসিড সন্ত্রাসের শিকার হন তাদের দেহেই শুধু এর প্রভাব পড়ে না। মানসিকভাবেও তারা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হন। মেডিকেলি সাহায্য ও মানসিকভাবে শক্তি দিলে আস্তে আস্তে ভুক্তভোগীরা নিজেদের গুছিয়ে আনতে পারেন। অ্যাসিড সন্ত্রাস একটি গুরুতর অপরাধ। এ অপরাধের কোনো ক্ষমা নেই।’

অ্যাসিড সন্ত্রাসের শিকার নারী ও শিশুদের উদ্দেশ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যারা নারীদের ওপর সহিংসতা করতে চায়, তারা প্রথম ধাপ হিসেবে অ্যাসিড সন্ত্রাসকে বেছে নেয়। এ ধরনের কাজ যারা করে তারা মানুষ নয়, মানুষরূপী পশু। কিন্তু আপনারা নিজেদের একা ভাববেন না। বিভিন্ন সংগঠন আপনাদের পাশে আছে। সরকার আপনাদের পাশে আছে। ওই পশুরা বাহ্যিকভাবে ক্ষতি করতে পারলেও আপনাদের প্রতিভা তো নষ্ট করতে পারেনি।’

এ সময় পুরুষ-নারীর মধ্যে লিঙ্গ বৈষম্য দূর করার এবং পরিবার ও সমাজকে অ্যাসিড সন্ত্রাসের শিকার নারী ও শিশুদের সাহায্যে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

এএসএফ’র চেয়ারপার্সন ড. ইফতেখারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তারিক উল ইসলাম, অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের ডিপার্টমেন্ট কো-অপারেশনের কাউন্সিলর প্রিয়া পাওয়েল, ঢাবি’র অধ্যাপক কামালউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, এএসএফ’র নির্বাহী পরিচালক সেলিনা আহমেদ, অধ্যাপক ডায়না হারকোর্ট, অধ্যাপক রিচার্ড ক্যাসেল প্রমুখ।

(দ্য রিপোর্ট/এসআর/এসকে/এনআই/ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৪)