দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বেতন-ভাতাসহ পাওনা টাকা পরিশোধের দাবিতে বৃহস্পতিবার থেকে অবস্থান কর্মসূচিতে যাচ্ছে চাকরিচ্যুত ইনকিলাব সাংবাদিক-কর্মচারীরা। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন রাজধানীর মতিঝিলস্থ (ইত্তেফাক মোড়) ইনকিলাব ভবনের  গেটের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন তারা।

বুধবার চাকরিচ্যুত ইনকিলাব সাংবাদিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের এক জরুরি বৈঠকে বৃহস্পতিবার থেকে প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ইনকিলাব ভবনের গেটের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ৫ ঘণ্টাব্যাপী এই কর্মসূচি পালনে ইনকিলাব সাংবাদিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ সাংবাদিক সমাজসহ পেশাজীবীদের সমর্থন ও সহযোগিতা কামনা করেছেন তারা।

বুধবার চাকরিচ্যুত ইনকিলাব সাংবাদিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক শামীম চৌধুরী ও সদস্য সচিব হাসান-উজ জামান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন চাকরিচ্যুত ১০০ জন সাংবাদিক-কর্মচারীর ২৬ মাসের বকেয়া বেতন-ভাতাসহ যাবতীয় পাওনাদি পরিশোধ করা নিয়ে গত ১৫দিন ধরেটালবাহানা করছেন। চাকরিচ্যুত সাংবাদিক-কর্মচারীরা পাওনা চাইতে গেলে তাদেরকে ইনকিলাব অফিসে ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। চাকরিচ্যুত সাংবাদিক-কর্মচারীদের বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। যা একেবারেই অমানবিক, মানবাধিকার পরিপন্থী ও প্রাপ্য ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করার পাঁয়তারা। এহেন পরিস্থিতিতে চাকরিচ্যুত সাংবাদিক-কর্মচারীরা তাদের পাওনাদি নিয়ে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে।

ইনকিলাব সম্পাদককে সমুদয় পাওনা পরিশোধে চূড়ান্তভাবে গত ১৫ ও ১৬ মে আলটিমেটাম দেওয়া হয়।কিন্তু এই সময়ের মধ্যে পাওনা পরিশোধে কোন ধরনের সাড়া না দেওয়ায় আন্দোলন কর্মসূচি পালনে বাধ্য হচ্ছে চাকরিচ্যুতরা।

উল্লেখ্য, বকেয়ার মাত্র ৩০ শতাংশ অর্থ বুঝিয়ে দিয়ে সমুদয় পাওনা বুঝিয়া পাইলাম এই মর্মে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর ও টিপসই দিতে বাধ্য করার অনৈতিক প্রস্তাব মেনে না নেওয়ায় ইনকিলাব কর্তৃপক্ষ বিনা নোটিসে ১০০ জন সাংবাদিক-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করে।

(দ্য রিপোর্ট/কেএ/এপি/এনআই/মে ১৭, ২০১৭)