দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : এন্ডোসকপিক ও ল্যাপারোস্কপিক সার্জারির জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) দেশের প্রথম আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। রোগী ও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জারি বিভাগের অধীনে এ কেন্দ্র চালু করা হয়েছে।

প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটির নাম হচ্ছে ‘ইউনিভার্সিটি সেন্টার ফর এন্ডোসকপিক-ল্যাপারোস্কপিক সার্জারি’।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান বৃহস্পতিবার (১৮ মে) আনুষ্ঠানিকভাবে এ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটির উদ্বোধন করেন।

এ উপলক্ষে বিএসএমএমইউ এর শহীদ ডা. মিলন হলে ‘ট্রেনিং ইস্যুজ অন এন্ডো-ল্যাপারোস্কপিক সার্জারি-বাংলাদেশ পারসপেকটিভ’ শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক আব্দুল মান্নান বলেন, প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি চালু হওয়ায় এর মাধ্যমে মেডিকেল শিক্ষার্থীরা, চিকিৎসকরা প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন এবং রোগীরাও উপকৃত হবেন।

বিএসএমএমইউ সিন্ডিকেট মেম্বার অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের হেকেপ প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক ড. গৌরাঙ্গ চন্দ্র মোহন্ত এনডিসি।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ও ইউনিভার্সিটি সেন্টার ফর এন্ডোসকপিক-ল্যাপারোস্কপিক সার্জারির পরিচালক ডা. এএইচএম তৌহিদুল আলম। স্বাগত বক্তব্য দেন, সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম চৌধুরী।

অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে ও গবেষণা কার্যক্রম আরও জোরদার করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

ডা. এএইচএম তৌহিদুল আলম বলেন, এই সেন্টারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ দেশের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা আন্তর্জাতিক মানের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন। রোগীরা পাবেন এন্ডো-ল্যাপারোস্কপিক সার্জারি সুবিধা। এন্ডোসকপিক আল্ট্রাসাউন্ডের মাধ্যমে জটিল রোগ নির্ণয় করা যাবে এবং এর মাধ্যমে রোগীর অস্ত্রোপচার করা যাবে কিনা তাও নির্ধারণ করা যাবে।

তিনি বলেন, ল্যাপারোস্কপিক সার্জারিতে রোগীর ভোগান্তি কম হয়। তুলনামূলকভাবে কম সময় হাসপাতালে থাকতে হয় বিধায় রোগীর চিকিৎসার জন্য সামগ্রিক ব্যয়ও কম হয়। সবচেয়ে বড় কথা ল্যাপারোস্কপিক সার্জারিতে রোগী শারীরিকভাবে উপকৃত হয়। এতে অস্ত্রোপচারের পর রোগী কম ব্যথা অনুভব করে এবং দাগ থাকে না বলেই চলে।

তিনি আরও বলেন, এই সেন্টারে পিত্তথলীতে পাথর, অগ্নাশয়ের টিউমার ও ক্যান্সার নির্ণয়, পাকস্থলী, খাদ্যনালী, ক্ষুদ্রান্ত্র, বৃহদান্ত্রের রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা করা সম্ভব হবে। বিএসএমএমইউতে ভর্তি হওয়া রোগীরা এ সেবাটি পাবেন সাশ্রয়ী মূল্যে, ক্ষেত্র বিশেষে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএম/এমকে/এআই/মে ১৮, ২০১৭)