দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: সমঝোতার দুয়ার আপনারাই (বিএনপি) বন্ধ করে দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

 

শুক্রবার (১৯ মে) দুপুরে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ আয়োজিত আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামকে উদ্দেশ্যে করে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘ফখরুল সাহেব সমঝোতার দুয়ার আপনারাই বন্ধ করে দিয়েছেন। একজন শোকার্ত মাকে শান্তনা দিতে কোকোর মৃত্যুর সময় শেখ হাসিনা গিয়েছিলেন তার (খালেদা জিয়ার) বাসভবনের সামনে। গিয়ে দেখেন দরজায় তালা ঝুলছে, তারপর নিঃশব্দে দাঁড়িয়ে ছিলেন, কেউ আছে কিনা। এই তাদের মন-মানসিকতা, এই সমঝোতার শুরু। আপনারাই সমঝোতার দুয়ার বন্ধ করে দিয়েছেন।’

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া ১৫ আগস্টে ভুয়া জন্মদিন পালন করে তারপরও দেশের স্বার্থে সমঝোতার জন্য ২০১৪ সালে শেখ হাসিনা টেলিফোন করেছিলেন, সংলাপের আহ্বান জানিয়েছিলেন। বেগম জিয়ার সে কি অশ্রাব্য বক্তব্য, নোংরা ভাষা। তারপরও বলেছিলাম নির্বাচনে আসতে। কিন্তু তারা নির্বাচনে না এসে শুরু করল আন্দোলন। সেই আন্দোলন কি এখনও উঠেছে?’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রাস্তায় গাছ পুড়েছে, ৬০০ নির্বাচন কেন্দ্র স্কুল পুড়েছে, প্রিজাইডিং অফিসার হত্যা করা হয়েছে, হত্যা করা হয়েছে বাস ট্রাকের কর্মী ৫৫ জনকে। ১৬৫ জনের জীবন নিভিয়ে দেওয়া হয়েছে। কারা করল এসব? বেগম জিয়া টেলিফোনে নির্দেশনা দিয়েছেন, তিনি নিজেই নেতৃত্ব দিয়েছেন। এই সবের পরও কীভাবে সমঝোতা হয়? তারপর চেষ্টা করেছি, কিন্তু বিএনপিই সেই সমঝোতার পথ বন্ধ করেছে।’

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলার কথাও উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘২১ আগস্ট শেখ হাসিনার ওপর গ্রনেড হামলা হলো ক্ষমতায় তখন বিএনপি। আল্লার রহমতে সেই যাত্রায় শেখ হাসিনা বেঁচে গেছন। সেই বিচার নিয়ে তখন জজ মিয়া নাটক সাজানো হলো। তখন বিএনপি নেতারা বললেন, শেখ হাসিনা নাকি ভ্যানিটি ব্যাগে করে গ্রেনেড এনে ছুড়ে মেরেছে। কিন্তু এই হামলার মঞ্চে কারা, পেছনে কারা দেশের মানুষ জানে।’

দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করা বিএনপিকে আগামী নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে কাদের বলেন, ‘নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকবে, নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ থাকবে। নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশন, এই সরকার রুটিন কাজ করবে মাত্র। সুযোগ সুবিধা আমরা বিতরণ করতে পারব না।’

যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীরর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ‍যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাঈল চৌধুরী সম্রাট, উত্তরের সভাপতি মাঈনুল হোসেন খান নিখিল প্রমুখ।

(দ্য রিপোর্ট/সাআ/এনটি/মে ১৯, ২০১৭)