মৌলভীবাজার প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলায় শাম্মী আখতার (১৮) নামক এক কলেজ ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৯ মে) সকালে নিজবাড়ি থেকে একটু দূরে জঙ্গলে ওই কলেজ ছাত্রী লাশ পাওয়া গেছে। রাজনগর থানার পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে মৌলভীবাজার হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার টেংরা ইউনিয়নের কাছাড়ী করিমপুর গ্রামের হারুন মিয়ার মেয়ে শাম্মী আখতার তারাপাশা স্কুল এন্ড কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের ছাত্রী। গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে টয়লেটে যায়। দীর্ঘ সময় ধরে ফিরে না আসায় তাকে খুঁজতে বের হন তার বাবা হারুন মিয়া ও ভাই শাকিব আহমদসহ কয়েকজন।

এরপর শুক্রবার সকালে হারুন মিয়ার বাড়ির উত্তর পার্শের জমিতে লোকমান মিয়া মহিষ চরাতে যান। এ সময় একটি মহিষ পাশের মছকন মিয়ার আকাশিয়াম গাছের জঙ্গলে ঢুকে যায়। তিনি (লোকমান) ওই মহিষ আনতে গিয়ে এক নারীর লাশ পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার করেন। এসময় আশেপাশের লোকজন জড়ো হয়। ছুটে আসেন শাম্মী আখতারের মা নাসিমাও। তিনি তার মেয়ের লাশ দেখতে পেয়ে জঙ্গল থেকে বের করে পাশের জমিতে নিয়ে আসেন।

খবর পেয়ে দুপুর ২টায় ঘটনাস্থলে যায় রাজনগর থানা পুলিশ। এরপর বিকেল ৪টার দিকে মৌলভীবাজার থেকে পিবিআই ও সিআইডির ঘটনাস্থলে গিয়ে আলামত সংগ্রহ করে।

নিহতের পিতা হারুন মিয়া ও ভাই শাকিব মিয়া জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার সময় শাম্মী টয়লেটে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হয় আর ফিরে আসেনি। পরে বাড়ির উঠানের বাঁশে তার উড়না ও টয়লেটে পানি ভরা বদনা পাওয়া যায়। রাতেই বাড়ির আশপাশ ও বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করে না পেয়ে সকালের অপেক্ষায় ছিলেন তারা। এরপরই সকালে শাম্মীকে মৃত অবস্থায় পান তারা।

মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহজালাল ও সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রাশেদুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল বণিক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দ্য রিপোর্টকে বলেছেন, ‘ঘটনাস্থল ও বিভিন্ন আলামত দেখে মনে হচ্ছে তাকে গণধর্ষণের পর তাকে হত্যা করা হয়েছে। লাশের মুখে বেশ কিছু নখের দাগ ও ক্ষত চিহ্ন রয়েছে।’

(দ্য রিপোর্ট/এজে/এনআই/মে ১৯, ২০১৭)