দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : রক্তে অবৈধ মাদকের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়ায় ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে ১৫ মাসের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন রাশিয়ান টেনিস তারকা মারিয়া শারাপোভা। সেই নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে গত এপ্রিলে আবার প্রতিযোগিতামূলক টেনিসে ফিরেছেন তিনি। অংশ নিয়েছেন তিনটি ডব্লিউটিএ টুর্নামেন্টে। কিন্তু র‌্যাংকিংয়ে অনেক নিচের দিকে নেমে যাওয়ায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পাননি ফ্রেঞ্চ ওপেনে। মেয়েদের টেনিসের সাবেক শীর্ষ তারকা শারাপোভা এখন আছেন র‌্যাংকিংয়ের ২১১ নম্বরে। তাকে ওয়াইল্ড কার্ড দেওয়ার সম্ভাবনাও নাকচ করে দিয়েছে ফ্রেঞ্চ টেনিস ফেডারেশন।

এরপর উইম্বলডনের ওয়াইল্ড কার্ড নিতেও অস্বীকৃতি জানিয়েছেন শারাপোভা। তার বদলে তিনি নামবেন বাছাইপর্বের লড়াইয়ে। এক বিবৃতিতে শারাপোভা বলেছেন, ‘নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার পর প্রথম তিনটি টুর্নামেন্ট খেলে আমার র‌্যাংকিংয়ে অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। ফলে আমি উইম্বলডনের বাছাইপর্ব খেলতে পারব। আর উইম্বলডনে সরাসরি অংশ নেওয়ার জন্য আমি কোনো ওয়াইল্ড কার্ডের অনুরোধ করব না।’

টেনিসের নিয়ম অনুযায়ী বছরের চারটি গ্র্যান্ড স্লামে সরাসরি অংশ নেওয়ার জন্য থাকতে হয় র‌্যাংকিংয়ের ওপরের দিকে। আর কিছু তারকা সরাসরি খেলতে পারেন ওয়াইল্ড কার্ড পেয়ে। যেটা সাধারণত দেওয়া হয় ইনজুরি কাটিয়ে ফেরা বড় তারকাদের। কিন্তু শারাপোভা ডোপিংয়ের কারণে নিষেধাজ্ঞা পেয়ে ফিরেছেন বলে তাকে ওয়াইল্ড কার্ড দিতে রাজি হয়নি ফ্রেঞ্চ টেনিস ফেডারেশন।

২০০৪ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে উইম্বলডন শিরোপা জিতে টেনিস বিশ্বে সোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন শারাপোভা। তারপর জিতেছেন আরো চারটি গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা। কোনো গ্র্যান্ড স্লাম প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য কখনো বাছাইপর্ব খেলতে হবে, এটা হয়তো কখনো কল্পনাও করেননি রাশিয়ান এই তারকা। অপেক্ষা করতে হয়নি কোনো ওয়াইল্ড কার্ডের জন্যও। কিন্তু ডোপ কেলেঙ্কারিতে জড়ানোর পর সেই অকল্পনীয় পরিস্থিতিগুলোর মধ্য দিয়েই যেতে হচ্ছে লাস্যময়ী এই টেনিস তারকাকে।

(দ্য রিপোর্ট/এনপিএস/মে ২০, ২০১৭)