দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : এ বছর স্টপ সাইবার বুলিং দিবসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ডিজিটাল মিডিয়াতে ‘বি অ্যা সাইবার হিরো’ শীর্ষক ক্যাম্পেইন চালু করতে যাচ্ছে টেলিনর গ্রুপ। ২০২০ সালের মধ্যে টেলিনরের ১৩টি বাজারে চল্লিশ লাখ শিক্ষার্থীকে অনলাইনে নিরাপত্তা বিষয়ে শিক্ষিত করে তুলতে সহায়তা করাই এ ক্যাম্পেইনের লক্ষ্য।

হিসাব অনুযায়ী, ২০২০ সালের মধ্যে এশিয়ার ৫০ কোটি শিশুর হাতের নাগালে চলে আসবে ইন্টারনেট। বছরজুড়ে অনলাইনে নিরাপত্তা নিয়ে নানা ধরনের উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে ২০১৬ সালে টেলিনর প্রথম স্টপ সাইবার বুলিং দিবস পালনে যোগ দেয়। অনলাইন নিরাপত্তা ও সাইবার বুলিং নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রচারণার ২৫৯ মিলিয়ন বার টেলিনরের # ইউজহার্ট হ্যাশট্যাগ সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এ বছর প্রতিষ্ঠানটির প্রত্যাশা, সামাজিক মাধ্যমে কাস্টম মেড ‘বি অ্যা সাইবার হিরো’ প্রোফাইল পিকচার ফিল্টার, সামাজিক মাধ্যমে সাইবার বুলিং এর টিপস নিয়ে বিভিন্ন ধরনের গ্রাফিকস ও মাল্টিমিডিয়া এবং টেলিনর গ্রুপের ফেসবুক পেজে অন্যান্য সচেতনতা বিষয়ক কর্মকাণ্ড চালানোর মাধ্যমে সম্পৃক্ততা বাড়িয়ে তোলা। বৈশ্বিকভাবে প্রতিষ্ঠানটির ৩০ হাজারেরও বেশি কর্মী তাদের প্রোফাইল ছবি পরিবর্তনের মাধ্যমে সাইবার বুলিং- এর বিরুদ্ধে ইতিবাচক বার্তা প্রদানে এ অনলাইন মুভমেন্টে যোগদান করবে।

এ নিয়ে টেলিনর গ্রুপের সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি ডিরেক্টর জয়নব হুসাইন সিদ্দিকী বলেন, ‘আমাদের এ উদ্যোগ গ্রহণের লক্ষ্য ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সাইবার বুলিং এবং এটা চিহ্নিত করার বাস্তবসম্মত উপায়গুলো নিয়ে শিক্ষিত করে তোলা।’ তিনি আরও বলেন, ‘এটা আমাদের ২০২০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার দশম লক্ষ্য অসাম্য দূরীকরণের প্রতিশ্রুতি পূরণে সহায়তা করবে। অনলাইন নিরাপত্তায় আমরা আমাদের চল্লিশ লাখ শিশুকে প্রশিক্ষিত করে তোলার শপথ নিয়েছি যাতে আত্মবিশ্বাস নিয়ে এবং দায়িত্বের সাথে অনলাইনে সম্পৃক্ত হতে পারে। এক্ষেত্রে, ‘বি অ্যা সাইবার হিরো’ ক্যাম্পেইন নিরাপদ ইন্টারনেট নিয়ে আমাদের চলমান উদ্যোগগুলোকে সহায়তা করবে। আমাদের উদ্যোগগুলো নিয়ে আমরা ইতিমধ্যেই টেলিনরের ১৩টি বাজারের শিশু, বাবা-মা ও স্কুলে পৌঁছাচ্ছি।

গবেষণার তথ্য : বৃদ্ধি পেয়েছে সাইবার বুলিং

২০১৬ সালে শুরু হওয়া টেলিনরের বৈশ্বিক কর্মসূচি ‘বি স্মার্ট ইউজ হার্ট’ ইতিমধ্যেই স্থানীয়ভাবে সাফল্য লাভ করেছে। এক্ষেত্রে, উদাহরণ হিসেবে বলা যায় নরওয়ের ব্রুক হুয়ের কথা। সাইবার বুলিং ও নিরাপদ ইন্টারনেট নিয়ে ২০১৭ সালের ক্যাম্পেইন গত বছরের কর্মসূচির অধীনেই চলছে। এ প্ল্যাটফর্মের প্রদত্ত তথ্যের মাধ্যমে শিশু ও তাদের বাবা-মায়েরা জানতে পারবে কিভাবে ডিজিটাল বুলিং মোকাবিলা করবে, অনলাইনে নিরাপদ থাকবে এবং কিভাবে তাদের মোবাইল ডিভাইস সুরক্ষিত রাখবে। নতুন গবেষণার প্রাপ্ত তথ্য সাইবার বুলিং নিয়ে সারাবিশ্বের সচেতনতা বাড়িয়ে তুলছে। এমনকি এমন তথ্যও পাওয়া গেছে, যারা সরাসরি বুলিং- এর শিকার হয়েছেন তারা অনলাইনেও বুলিং এর শিকার হতে পারে। ওই গবেষণার তথ্য অনুযায়ী সাইবার বুলিং বৃদ্ধি পেয়েছে। সাইবার বুলিং এর শিকার হওয়া ৬৪ শতাংশ শিক্ষার্থী জানিয়েছে, সাইবার বুলিং তাদের শেখার দক্ষতা এবং স্কুলে থাকা অবস্থায় নিরাপত্তা বোধকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে। এছাড়াও গত ৩০ দিনের মধ্যে সাইবার বুলিং এর শিকার হওয়া ৮৩ শতাংশ শিক্ষার্থী সম্প্রতি তাদের স্কুলেও বুলিং- এর শিকার হয়েছে।

জয়নব হুসাইন সিদ্দিকী বলেন, ‘সাইবার বুলিং-এর প্রতি আমাদের মনোযোগী হওয়া উচিত। আমরা সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি যেনো তারা সাইবার বুলিং- এ আক্রান্তদের সমর্থনে তাদের প্রোফাইল ছবি পরিবর্তন করে এ বার্তা সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়। চলুন আমরা সবাইকে উৎসাহিত করি যেনো সবাইক দায়িত্ব নিয়ে বার্তা আদান-প্রদান করে এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার করে।’

ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণ করুন

ফেসবুক ও টুইটারে আপনার প্রোফাইল ছবি পরিবর্তন করে টেলিনরের স্টপ সাইবার বুলিং ডে ২০১৭ ক্যাম্পেইন সমর্থন করুন। লিঙ্ক: www.twibbon.com/support/stop-cyberbullying-day। অনলাইনে বৈশ্বিক সংলাপে অংশগ্রহণ করে স্টপ সাইবার বুলিং ডে নিয়ে পোস্টে #ইউজহার্ট ও #স্টপসাইবারবুলিংডে হ্যাশট্যাগ পোস্ট করুন এবং হয়ে উঠুন এ ক্যাম্পেইনের সাইবার হিরো। তরুণদের জন্য কিভাবে ইন্টারনেটকে নিরাপদ পরিবেশ বানানো যায় এ নিয়ে পড়ুন এবং তথ্য শেয়ার করুন। এজন্য টেলিনর গ্রুপের অবিভাবক গাইড পড়তে ভিজিট করুন : Parent Guide: How to talk to your children about the internet। অনলাইন নিরাপদ থাকা নিয়ে পরামর্শ পেতে, এ নিয়ে জানার জন্য এবং অনলাইনে নিরাপদে রাখতে ভিজিট করুন: http://www.telenor.com/sustainability/responsible-business/safe-services/besmartuseheart/

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/এনআই/জুন ১৮, ২০১৭)