দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পরে প্রায় সাড়ে ৪ বছর হলেও সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স এখনো ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উঠতে পারেনি। বরং ২০১৫ সালের ব্যবসায় ‘নো ডিভিডেন্ড’ ঘোষণার কারণে সর্বনিম্ন ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে নেমেছে এবং এখনো অবস্থান করছে।

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পরে কোম্পানির পর্ষদ লভ্যাংশ ঘোষণা সংক্রান্ত বিষয়ে ৪বার বোর্ড সভা করেছে। তবে একবারও ১০ শতাংশ বা তার চেয়ে বেশি লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারেন। যাতে কোম্পানিটি কখনো ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উঠতে পারেনি।

সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স ২০১৩ সালের শুরুতে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। এরপরে ২০১২ সালসহ ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালের ব্যবসা নিয়ে লভ্যাংশ সংক্রান্ত ৪ বার বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরমধ্যে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ২০১৪ সালে সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। এর আগের ২ বছরের জন্য ৫ শতাংশ করে লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছিল। আর সর্বশেষ ২০১৫ সালের ব্যবসায় ‘নো ডিভিডেন্ড’ ঘোষণা করেছে।

এদিকে সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সের ব্যবসায় সম্প্রসারণের সুযোগ না থাকলেও প্রতিবারই বোনাস শেয়ার ঘোষণা করেছে। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পরে ৩ বারই বোনাস শেয়ার ঘোষণা করেছে।

কোম্পানি শেয়ারবাজার থেকে ২০১৩ সালে ১২ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। প্রতিটি শেয়ার ১০ টাকা দরে ১ কোটি ২০ লাখ শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে এ টাকা সংগ্রহ করা হয়। যা এফডিআর করার লক্ষে সংগ্রহ করা হয়েছিল।

ডিএসই অনুযায়ী, ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর উদ্যোক্তা/পরিচালকদের শেয়ার ধারণের পরিমাণ ছিল ৫১.৫৪ শতাংশ। যা চলতি বছরের ৩১ মে কমে দাঁড়িয়েছে ৪১.৯৯ শতাংশে। অর্থাৎ কোম্পানির উদ্যোক্তা/পরিচালকেরা তাদের শেয়ার বিক্রয় করে বেরিয়ে যাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে প্রতিষ্ঠান লোকসান ও বেহাল অবস্থায় থাকলেও উদ্যোক্তাদের ক্ষতি হবে কম।

উল্লেখ্য রবিবার (১৮ জুন) লেনদেন শেষে সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ২১.৪০ টাকা।

(দ্য রিপোর্ট/আরএ/এনআই/জুন ১৯, ২০১৭)