দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : আয়োজনটা ব্যতিক্রমই বটে। চেনা দৃশ্যটা বদলে দিয়েছে হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ থানার কাজীরগাঁও গ্রামের ‘পড়াঘর’ পাঠাগার।  এই পাঠাগারের উদ্যোগে ২০০৮ সাল থেকে ঈদ সালামি হিসেবে বই দেওয়ার প্রচলন চালু করা হয়েছে। এ বছরও ঈদের তৃতীয় দিন কাজীরগাঁও শাহী ঈদ গা মাঠে শিশু-কিশোর ও তরুণদের মধ্যে এক  শ’ বই বিতরণ করা হয়েছে ঈদ সালামি হিসেবে।

অনুষ্ঠানে ছিলো না কোনো বিশেষ অতিথি ও বিশেষ মঞ্চ। গ্রামের মুরুব্বিরাই সালামি হিসেবে বই তুলে দেন সবার হাতে। মুরুব্বি হিসেবে এতে উপস্থিত ছিলেন, ইউনিয়ন সদস্য শফিউল আলম তালুকদার, কাজী মামুন মিয়া,কাজী অলিদ মিয়া,কাজী তৌহিদ মিয়া, পড়াঘর পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক ও নাট্যকার গোলাম রাব্বানী, পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য কাজী সাজিম আহমেদ ও কাজী রায়হান।

মূলত গল্প, কবিতা, ছড়া, উপন্যাস, ভ্রমণ কাহিনী ও প্রবন্ধের বই দেওয়া হয় ঈদ সালামি হিসেবে। আগামী ২০১৮ সালে দশ বছর পূর্ণ করতে যাচ্ছে এই ব্যতিক্রম কার্যক্রমটি। আয়োজকরা জানান, আগামীতে আরেও বেশি বই দেওয়ার চেষ্টা থাকবে তাদের। শুধু কাজীরগাঁও না আশপাশের গ্রামেও ঈদ সালামি হিসেবে বই দেওয়ার রীতিটা চালু করতে চায় পড়াঘর।

পাঠাগারটির প্রতিষ্ঠাতা গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘আমরা ছোট করে শুরু করেছিলাম। আস্তে আস্তে আমাদের এই উদ্যোগের খবরে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি ঈদ সালামি হিসেবে বই বিতরণ করছেন। এটাই আমাদের প্রাপ্তি বা আনন্দ। বইয়ের চেয়ে শ্রেষ্ঠ উপহার আর কি হতে পারে আমার জানা নেই। সবার সহযোগিতা পেলে আমরা আমাদের গ্রামে একটি স্থায়ী পাঠাগার নির্মাণ করতে চাই।’

(দ্য রিপোর্ট/পিএস/এনআই/জুলাই ০৩, ২০১৭)