দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, ‘তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাজে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা এলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ সময় পর্যন্ত কর্মপরিকল্পনার ৭টি বিষয় ধরে কমিশন কাজ এগিয়ে নেবে।’

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইসির কর্মপরিকল্পনা বা রোডম্যাপ প্রকাশ অনুষ্ঠানে রবিবার (১৬ জুলাই) সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেছেন সিইসি।

আগারগাঁওয়ের নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউশনের (ইটিআই) সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সিইসি আরেো বলেছেন, ‘এটি নির্বাচনের একটি সূচনা দলিল। এ কর্মপরিকল্পনা ধরে সবার মতামত নিয়ে নির্বাচনের পথে আমরা কাজ করবো। আলোচনার ভিত্তিতে এতে সংযোজন-পরিমার্জনও করা হতে পারে।’

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার বেগম কবিতা খানম স্বাগত বক্তব্য রাখেন। নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম ও শাহাদত হোসেন চৌধুরী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেছেন, ‘শুধু সরকারই নয়, রাজনৈতিক দল বা যে কোনো দেশি-বিদেশি সংস্থার প্রভাবমুক্ত নির্বাচন আমরা করতে পারব, এ ব্যাপারে পূর্ণ আস্থা রয়েছে।’

কর্মপরিকল্পনায় না থাকলেও নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেছেন, ‘নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের দরজা আমরা বন্ধ করে দেইনি। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার পর যদি সবাই চায় তাহলে এর ব্যবহার সম্ভব।’

তিনি আরো বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশন নির্ধারিত সময়ে সংসদ নির্বাচন করতে দৃঢ়তার সঙ্গে ও সুচিন্তিত পন্থায় এগিয়ে যাচ্ছে। সার্বিকভাবে দেশে জাতীয় নির্বাচনের একটি অনুকূল আবহ সৃষ্টি হয়েছে।’

সিইসি জানিয়েছেন, কর্মপরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলো নিয়ে অংশীজন, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক দলসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সংলাপে তাদের সামনে উপস্থাপন করে মতামত নেওয়া হবে। সবার মতামতের আলোকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আইনানুগ ও গ্রহণযোগ্য করে তোলা সম্ভব।

সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের স্বার্থে সংলাপে রাজনৈতিক দলসহ অংশীজনের কাছ থেকে সুপারিশের পাশাপাশি সহযোগিতা চাওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

সম্প্রতি একটি রাজনৈতিক দলের নেতার বাসায় বৈঠক সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেছেন, ‘এটা সরকারের বিষয়। তফসিল ঘোষণার আগে সরকারি কর্মকান্ডে হস্তক্ষেপ করার কোনো এখতিয়ার ইসির নেই। তফসিল ঘোষণা পর নির্বাচনী আইন-বিধি অনুযায়ী ইসি কাজ করবে। এ মুহূর্তে সরকার কীভাবে পরিচালিত হবে, রাজনৈতিক কর্মপরিবেশ কীভাবে নিশ্চিত করা হবে তা কমিশনের এখতিয়ারে নেই। ইসি কি কি কাজ করবে তা আইন দ্বারা নির্ধারিত রয়েছে।’

নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেছেন, ‘দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে কমিশন এ পর্যন্ত সব কাজ প্রশ্নের ঊর্ধ্বে থেকে করার চেষ্টা করেছে।’ সততা ও শক্তির স্বাক্ষর রাখতে তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেন।

প্রসঙ্গত, দশম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয় ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি। সেক্ষেত্রে ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির আগের ৯০ দিনের মধ্যে একাদশ সংসদ নির্বাচনের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

সূত্র : বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)

(দ্য রিপোর্ট/জেডটি/জুলাই ১৬, ২০১৭)