দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : দেশের বস্ত্র খাতকে আরো প্রতিযোগিতাপূর্ণ করে গড়ে তুলতে হবে। এ জন্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সব ধরনের সেবা দিতে প্রস্তুত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম।

সোমবার (১৭ জুলাই) বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বস্ত্রখাতের অভিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে সকল স্টেকহোল্ডাদের নিবিড়ভাবে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এ জন্য ভারতে অনুষ্ঠিত টেক্সটাইল মেলার মাধ্যমে অর্জিত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানোর সুযোগ রয়েছে।

এছাড়া বস্ত্রখাতের সার্বিক উন্নয়নের জন্য এবং বিশ্ব বাজারে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যাওয়ার জন্য যেসকল কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা আবশ্যক তার সুপারিশমালা বস্ত্রখাতের বেসরকারি খাত হতে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করার জন্য পরামর্শ দেন মির্জা আজম।

সভায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফয়জুর রহমান চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব কৃষ্ণ ভট্টাচার্য্য, বিটিএমসির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব আহমেদ জাকারিয়া (বীর প্রতীক), বস্ত্র পরিদপ্তরের পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থার প্রধানেরাসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিজিএমইএ-এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম মান্নান (কচি), বিকেএমইএ, বিটিএমএ, বিটিটিএলএমইএ ও বিজিএএমপিআইএ-এর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় স্টেকহোল্ডাররা উল্লেখ করেন, ২০২১ সালের মধ্যে বস্ত্রখাতের লক্ষ্য অর্জন করতে হলে এ খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও সরকারের পক্ষ থেকে অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বাড়ানো প্রয়োজন। আসন্ন শীত মৌসুমে বাংলাদেশেও টেক্সটাইল মেলা আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।

উল্লেখ্য, গত ৩০ জুন থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত গুজরাটের গান্ধিনগরে অনুষ্ঠিত মেলায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল এবং বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) বাংলাদেশ নিটওয়ার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশেন (বিকেএমইএ), বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস্‌ অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সদস্যরা অংশ নেন।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/জুলাই ১৭, ২০১৭)