রাজশাহী অফিস : তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ‘ভারতের বেঙ্গালোর, আমেরিকার সানফ্রান্সিসকো ও ক্যালিফোর্নিয়ার সিলিকন সিটির মতো বঙ্গবন্ধু হাই-টেক পার্কে বিশ্বমানের সফটওয়্যার তৈরি হবে। শুধু মেধার বিকাশ ঘটিয়ে রাজশাহীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন করা হবে। পার্কের নির্মাণ শেষে এখানে ১৪ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে।’

মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বিকেলে রাজশাহীর জিয়ানগর এলাকায় তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর হাই-টেক পার্কের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সীমানা প্রাচীর ও গেট নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘রাজশাহীর মানুষ শুধু শ্রম নির্ভর থাকবে না। ২০২১ সাল নাগাদ রাজশাহীকে সারা বিশ্বই চিনবে হাই-টেক পার্কের মাধ্যমে।’

প্রকল্প পরিচালক একেএম ফজলুল হক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি হাই-টেক পার্কের ভিত্তি-প্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। এরপর সেখানে মাটি ভরাটের কাজ চলে। এবার উদ্বোধন হলো সীমানা প্রাচীর ও গেট নির্মাণের। এর মধ্যে দিয়েই দৃশ্যমান হতে শুরু করল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্ক।

২০১১ সালের ২৪ নভেম্বর রাজশাহীতে এক জনসভায় সিলিকন সিটি নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৬ সালের ২৩ ডিসেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালির আদলেই এর অবকাঠামোগত নির্মাণ হবে। এছাড়া ৬২ হাজার বর্গফুট আয়তনের পাঁচতলা বিশিষ্ট একটি আইটি ইনকুবেটর কাম ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করা হবে। পদ্মাপাড়ের ৩১ দশমিক ৬৩ একর জমির ওপর গড়ে উঠতে যাওয়া এই পার্কটি নির্মাণে ব্যয় হবে ২৮১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।

(দ্য রিপোর্ট/এমএইচএ/জুলাই ১৮, ২০১৭)