দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : যাত্রী সংকটে একের পর এক হজ ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় যে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে এজন্য হজ এজেন্সিগুলোকে দায়ী করলেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী মতিউর রহমান।

সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) নিজ দফতরে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এজেন্সিগুলো যদি বিলম্ব না করত তাহলে যাওয়ার ব্যাপারে এত কিছু হতো না। তাদের (এজেন্সি) বিরুদ্ধে এক্সট্রিমলি অ্যাকশন নেব। ফাইন, লাইসেন্স, জরিমানা- এ সমস্ত, নিয়ম অনুযায়ী যেগুলো নিতে পারি, সেই ব্যবস্থা নেব। কারো প্রতি ক্ষমা প্রদর্শন করব না।’

তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি যত জটিলই হোক, শেষ পর্যন্ত সবাইকে হজে পাঠাতে পারব। হজ যাত্রীদের ভিসা জটিলতা প্রতিবারই হয়, তার সমাধানও করা হয়। ইনশাল্লাহ, আমি আশাবাদী, ঠিক করতে পারব।’ কতগুলো হজ এজেন্সি এই জটিলতার জন্য দায়ী-জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘সেই হিসাব এখনও পাইনি।’ এবার হজযাত্রীদের মোয়াল্লেম ফি বৃদ্ধি করেছে সৌদি সরকার। একই সঙ্গে ২০১৫ ২০১৬ সালে যারা হজ করেছেন তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ২ হাজার রিয়াল নেওয়া হচ্ছে। অপরদিকে ই-ভিসা প্রিন্ট জটিলতা দেখা দিয়েছে। এতে নির্ধারিত সময়ের ফ্লাইট ধরতে পারছে না হজযাত্রীরা। যাত্রী সংকটে বাতিল হচ্ছে হজ ফ্লাইট। এ পর্যন্ত বিমানের ১২টি ও সৌদি এয়ারলাইন্সের তিনটি হজ ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। ধর্মমন্ত্রী বলেন, ‘দুই হাজার রিয়ালের বিষয়টি পুনর্বিচেনার জন্য সৌদি সরকারকে লিখেছি, আলোচনা চলছে। এটা চাপিয়ে দেওয়া আমি মনে করি ঠিক হয়নি, আশা করি আমাদের আবেদন বিবেচনা হবে।’ তবে বাড়তি মোয়াল্লেম ফি মওকুফ না হলে সরকার হস্তক্ষেপ করতে পারবে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সেক্ষেত্রে সরকার টাকা দিয়ে হজযাত্রীদের সহযোগিতা করবে না। তবে এই টাকা যেন না দেওয়া লাগে সে বিষয়ে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করব।’ অবশিষ্ট ৪৫ হাজার হজযাত্রী নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ভিসা পেয়ে যাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন ধর্মমন্ত্রী।

(দ্য রিপোর্ট/এমআর/এমকে/আগস্ট ০৩, ২০১৭)