চবি প্রতিনিধি : কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরির মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য উদঘাটন পরবর্তী দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি এবং যেকোন ধরণের উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়রানি মূলক বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছে "রেসকোর্স" ব্যানারে চবি ছাত্রলীগের একাংশ ।

সোমবার (৭ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে চবি ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সভাপতি মো. আলমগীর টিপু বলেন,কেউ দেখেনাই কেউ শুনে এর পরবর্তিতে আমাদের ১০ জনকে দোষী করে মামলা করা হয়।আদালতে প্রমাণ হওয়ার পূর্বেই আমাদেরকে সামাজিক ভাবে, রাজনৈতিক ভাবে হেয় করা হচ্ছে।যেহেতু চট্টগ্রামের রাজনীতি নেতা বিভক্ত রাজনীতি সেহেতু আমাদের মধ্য মনমালিন্য ছিল কিন্তু আমাদের সসম্পর্কটা কখনও এতো খারাপ ছিল না যাতে করে হত্যকান্ডের মত  ঘটনা ঘটতে পারে।এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। এটা একটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরণয়তা ছাড়া কিছু না।

তিনি আরও বলেন, দিয়াজের সাথে হয়তবা আরও অনেকের সম্পর্ক ছিল, তাদের সম্পর্কের যে বিষয়টি সেটিও যাচায় বাছায় করা হোক কেন এই মানুষগুলা তদন্তের উদ্ধে থাকবে দিয়াজের সাথে যদি কোন মেয়ের রিলেশান থেকে থাকে এই বিষয়টাও আপনারা সামনে আনেন ওই মেয়েটি এখন কোথায় আছে তাঁরা কেন এখনও আড়ালে। আমি এখানে একটি নাম উল্ল্যেখ করতে চায় সেই নামটি হচ্ছে ছায়মা জেরিন প্রিয়াঙ্কা আমি যতটুক মনে করি তাঁর সাথে দিয়াজের সম্পর্ক ছিল। আর আমাদের বাইরের অনেক গ্রুপের সাথে দিয়াজের কেমন সম্পর্ক ছিল সেটি তদন্ত করে দেখেন আপনারা ।তথ্য প্রযুক্তির যুগে আপনারা এটাও দেখবেন সে কার সাথে বেশি কথা বলত, ওঠাবসা করত।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, চবি ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সিনিয়র সহ- সভাপতি আবদুল মনসুর সহ-সভাপতি আব্দুল মালেক, সাকাওত হোসেন রাহয়ান, আপ্পায়ন সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান,প্রচার সম্পাদক রেশেদুল করিম জিসানসহ আরো অনেকে।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২০ নভেম্বর নিজ বাসা থেকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক ও চবি ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরিকে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্তায় দিয়াজের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

(দ্য রিপোর্ট/এজে/আগস্ট ০৭, ২০১৭)