মুহাম্মদ আবু তৈয়ব, খুলনা ব্যুরো : খুলনা পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ [খুলনা ওয়াসা]-এর নিয়োগ বাণিজ্যের ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন [দুদক] তদন্ত শুরু করেছে। দুদক খুলনার উপ-পরিচালক আবুল হোসেন এই তদন্ত শুরু করা কথা স্বীকার করে জানান, প্রাথমিকভাবে অনেক প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে খুলনা ওয়াসা পরিচালনা বোর্ড কর্তৃক গঠিত পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি কোন অনিয়ম হয়নি এবং বাদ পড়াদের পর্যায়ক্রমে  নিয়োগ দেওয়ার সুপারিশ করে তদন্তু রিপোর্ট দাখিল করেছে বলে ওয়াসার ম্যানেজিং ডাইরেক্টর দাবি করেছেন।

খুলনা ওয়াসার নিয়োগ বাণিজ্য নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়। নিয়োগ বাণিজ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে খুলনা ওয়াসার মাস্টাররোলে কর্মরত ২জন পাম্প অপারেটর গত ২২ মার্চ উচ্চ আদালতের রিট পিটিশন করে। আদালতের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম এবং বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস রিটটি গ্রহণ করেন। এরপর খুলনা ওয়াসার ম্যানেজিং ডাইরেক্টর, ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর এবং সচিবের উপর রুল জারি করে এবং চার সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে সময় বেধে দেন।

এই রুল জারির পর গত ২৭ মার্চ খুলনা ওয়াসার ৪৭তম বোর্ড সভায় ইনঞ্জিনিয়ার মো. নুরুজ্জানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। নিয়োগ বাণিজ্য নিয়ে ইতোপূর্বে দুই সদস্যকে দেওয়া দায়িত্বের অগ্রগতি পর্যালোচনাকালে পুনরায় ৭০জন অ্যাডহক কর্মীকে স্থায়ীকরণ নিয়ে আলোচনা হয়। কয়েকজন সদস্য পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সত্যতা যাচাই পূর্বক প্রকৃত ঘটনা জানতে চান। ম্যানেজিং ডাইরেক্টরসহ দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা কোন অনিয়ম হয়নি দাবি করলে, তখন প্রশ্ন ওঠে তাহলে সংবাদপত্রে পতিবাদ দেওয়া হয়নি কেন? মিথ্যা সংবাদের বিরুদ্ধে আইনের ব্যবস্থার কথাও আলোচনায় আসে। সেই সভায় খুলনা ওয়াসার প্রভাবশালী বোর্ড সদস্য খুলনা চেম্বার সভাপতি কাজী আমিনুল হক জানান, তিনি শুনেছেন ইউনিয়ন নেতারা ৭০ জনের নিয়োগ স্থায়ী করতে জনপ্রতি সাত হাজার টাকা করে আদায় করেছেন। তিনি পুরা ঘটনার জন্য পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি পরামর্শ দিলে সর্বসম্মতভাবে পাশ হয়। এই তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয় খুলনা ওয়াসার বোর্ড সদস্য মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক সরদার আনিসুর রহমান পপলুকে, সদস্য ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা ১৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম মুন্না, ডিএমডি কামাল উদ্দিন আহমেদ, এসএম জাহিদ হোসেন ও প্রকৌশলী তাপস কুমার।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০০৮ সালে খুলনা ওয়াসা সৃষ্টির আগে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের পানি বিভাগে মাস্টাররোলে কর্মরত ছিল মোট ১৩৬জন কর্মী। খুলনা ওয়াসা সৃষ্টির পর তাদের তালিকা করে কর্মসংস্থানের দায়িত্ব দেওয়া হয় খুলনা ওয়াসাকে। ওয়াসার কর্মচারী ইউনিয়ন এই দাবির প্রেক্ষিতে এবং মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষ এই মাস্টাররোলে কর্মরতদের মধ্য হতে ৭০জনকে স্থায়ী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়। ২৯ জানুয়ারি ২০১৫ ছিল এই আবেদন প্রক্রিয়ার শেষ তারিখ।

চাকরিরে বিধিমত প্রার্থীরা নিজ নিজ যোগত্যা অনুযায়ী আবেদন করার নিয়ম। কিন্তু এখানে এই নিয়োগ বোর্ডের প্রধান উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক [অর্থ ও প্রশাসন] স্বপন কুমার মন্ডল নিজের স্বার্থে বিধিবিধান করেন আবেদনে আগ্রহী প্রার্থীদের নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে। আর এই সুযোগ নিয়ে তিনি আগ্রহী প্রার্থীদের শুধু নির্ধারিত ফরমে স্বাক্ষর করে, বাকিগুলো নিজেই পূরণ করে নেন। কাউকেই তিনি পদের নাম পূরণ করতে দেননি। মন্ত্রণালয়ের আদেশে মাস্টাররোলে কর্মরতদের সবোর্চ্চ বয়সসীমা বৃদ্ধি করে ৪৫ বছর করা-সহ বিভিন্ন বিষয় শিথিল করা হয়েছে সেই সুযোগ গ্রহণ করে এই নিয়োগ বাণিজ্য চলেছে। যারা আগেই স্বপন কুমার মন্ডলকে সন্তষ্ট করতে পেরেছেন তাদেরই নিয়োগ হয়েছে, শিক্ষাগত যোগ্যতা থাক বা না থাক। আর ইন্টারভিউ কার্ড আগে ডাকযোগে পাঠানো নিয়ম থাকলেও তা না করে মুঠোফোনে ডেকে ইন্টারভিউ বোর্ডে উপস্থিত হওয়ার পর তাকে কার্ড ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইন্টারভিউ আহ্বান করা হয় ৪ আগস্ট ২০১৬ আর প্রার্থীদের মুঠোফোনে অবহিত করা হয় ৩ আগস্ট ২০১৬। আবার যে ইন্টারভিউ কার্ড ধরিয়ে দেওয়া হয় সেখানে সই দেখানো হয়েছে এক মাস আগের। বিষয়টি তখন প্রতিবাদ করলে তিনি জানিয়েছিলেন এতে সমস্যা নেই। সবাইত আমাদের লোকজন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ১ নং পদে কম্পিউটার অপারেটর তিনজন নেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। অথচ এই পদে ৩জন নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যাদের ২ জনেরই কম্পিউটার চালানোর কোন অভিজ্ঞতা নেই। ২ নং হিসাবরক্ষক পদে একজন নিয়োগ দেওয়ার কথা বলা হলেও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ২জন। আর যাদেরই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তাদেরই শুধু ইন্টারভিউ কার্ড দেওয়া হয়েছে। অন্য কাউকে নিয়োগ পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া হয়নি।

৩ নং নিয়োগ সাঁটলিপিকার পদে শর্টহ্যান্ড অভিজ্ঞতা যোগত্যা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, কিন্তু যারা নিয়োগ পেয়েছে তাদের শর্ট হ্যান্ডের কোন অভিজ্ঞতাই নাই। শেখ আব্দুর রশিদ নামে একজনকে সহকারী হিসাবরক্ষক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তার বিরুদ্ধে মাস্টাররোলে কর্মকত থাকাকালে তহবিল আত্মসাতের ঘটনায় ২৯টি শোকস নোটিশ আগেই দেওয়া ছিল। একইভাবে অভিযোগ রয়েছে প্রবীণ কুমার বিশ্বাস নামে যাকে সাঁটলিপিকার পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তার মাস্টার্স সনদ জাল।

সহকারী হিসাবরক্ষক পদে নিয়োগে আগ্রহী প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগত্য ছিল স্নাতক পাশ। কিন্তু এখানে নিয়োগবোর্ডে ইন্টারভিউ কার্ড ইস্যু করা হয়েছে পাম্প অপারেটার হিসাবে কর্মরত শাহরিয়াজ তুষারকে, যার শিক্ষাগত যোগতা এসএসসি পাশ। একইভাবে ৬ নং নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি পদে রাজস্ব সহকারী পদে শিক্ষাগত যোগ্যতা চাওয়া হয়েছে স্নাতক পাশ। আর এই পদে ইন্টারভিউতে আমন্ত্রণ করা হয়েছে পাম্প অপারেটর লিয়াকত হোসেনকে যার শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি পাশ।

অভিযোগ রয়েছে লেনদেনের মাধ্যমে যাকে নিয়োগ দেওয়া হবে তাকেই সঠিকভাবে ইন্টারভিউতে ডাকা হবে। আর সাপোর্টিং হিসাবে ৩জন রাখা হয়েছে, যাতে তাদের পছন্দের লোকই নিয়োগ নিশ্চিত হয় এবং পরবর্তীতে অডিটে কোন আপত্তি না আসে। এভাবে যারা দীর্ঘদিন ধরে মাস্টাররোলে কর্মরত তাদের বাইপাস করে নিজেদের পছন্দের লোক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যাতে ৭৫টি পদের বিনিময় প্রায় দুই-তিন কোটি টাকার হাত বদল হয়েছে। খুলনা ওয়াসার দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, নিয়োগ বাণিজ্যে এবার এমনভাবে সূক্ষ্ম অনিময় করা হয়েছে, যাতে দৃশ্যমান কোন অনিয়ম নেই। এই নিয়োগ বাণিজ্য থেকে সুবিধা পেয়েছেন রাজনৈতিকভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত দুইজন সদস্য। যারা তদন্ত কমিটিতেও ছিলেন।

১২-১৩ বছর ধরে মাস্টাররোলে কর্মরত ভারপ্রাপ্ত পাম্প অপারেটার নূরুল আলম নিয়োগবঞ্চিত হওয়ায় তিনি ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবরে একটি অভিযোগ দাখিল করেন। কিন্তু ম্যানেজিং ডাইরেক্টর সরাসরি গ্রহণ না করায় এই অভিযোগটি তিনি ডাক যোগে প্রেরণ করেন। এর জের হিসেবে নুরুল আলমের কর্মস্থলে গত ১২ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে ওয়াসার নিয়োগপ্রাপ্তরা হামলা চালায়। বিষয়টি তখন খালিশপুর থানাকে অবহিত করা হয়। নুরনগর ফায়ার ব্রিগেডকর্মীদের প্রচেষ্টায় সেদিন কোনরকম রক্ষা পান নূরুল আলম। বিষয়টি তিনি ওয়াসার এমডিকে লিখিতভাবে অবহিত করেন। কিন্তু তিনি কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় নুরুল আলম উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হন।

উচ্চ আদালতের রিটের বাদী নূরুল আলমের দাবি- উচ্চ আদালতের রিট করার পর খেকে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ এবং সুবিধাভোগীরা তাকে নানাভাবে হয়রানি করছে। বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে অন্য ক্ষতি গ্রস্তদের তার সঙ্গ ত্যাগ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করছে।

এ ব্যাপারে দুদক খুলনার উপ–পরিচালক আবুল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি নিজেই তদন্ত করছেন বলে স্বীকার করেন। তিনি বলেন-ইতোমধ্যে অনেক অনিয়মের আলামত তিনি সংগ্রহ করেছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পেলেই দ্রুত মামলা করবেন।

খুলনা ওয়াসার ডিএমডি (প্রকল্প প্রধান) কামাল উদ্দিন আহমেদ-এর স্ত্রী লিউজা আহমেদ ২৫ লাখ টাকার সম্পদ থাকার কথা গোপন এবং প্রায় ৫০ লাখ টাকা জ্ঞাত আয়ের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ মামলার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মো. মোশারেফ হোসেন সম্প্রতি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছেন। এই চার্জশিটে উল্লেখ করা হয় যে, মিসেস লিউজা আহমেদ ওয়াসার ডিএমডি কামাল আহমেদের স্ত্রী এবং পেশায় শুধু গৃহিণী। তিনি দুদকের কাছে যে ঘোষণা দিয়েছেন তার প্রায় কোটি টাকা স্বর্ণ, ব্যাংক হিসাব, কৃষি জমি ও বাসভবন রয়েছে। দুদক কর্মকর্তা তার চার্জশিটে মন্তব্য করেন, গৃহিণী হিসাবে অর্জিত ও দখলে থাকা সম্পদ অবৈধ আয় দ্বারা অর্জন করেছেন।

উল্লেখ্য, মহানগরীতে ওয়াসার ২৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে খুলনা পানি সরবরাহ কাজ চলছে। এই মেগাপ্রকল্প প্রধান দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত লিউজা আহমেদের স্বামী কামাল উদ্দিন আহমেদ। মহানগরজুড়ে এই প্রকল্পর খোঁড়াখুঁড়ির কাজ চললেও নগরীতে কোথায় সিটিজেনচার্টার নেই। নাগরিক কমিটি প্রতিনিয়ত এই প্রকল্পর দুর্নীতি আর অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ সংবাদ সম্মেলন করছেন। এই প্রকল্পর দুটির বিলাসবহুল গাড়ি একজন রাজনৈতিক নেতার পরিবার এবং অপর একটি খুলনাস্থ ময়মনসিংহ জেলা সমিতির মহিলা অধিদফতরের মহিলা কর্মকর্তার পরিবার সার্বক্ষণিক ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বোর্ড সদস্য অভিযোগটি আলোচনা হয়েছে বলে স্বীকারও করেছেন।

এ ব্যাপারে ওয়াসার ডিএমডি কামাল উদ্দিন আহমেদ স্বীকার করেন তার স্ত্রীর নামে দুদকে দুর্নীতির মামলা রয়েছে। তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন- তার স্ত্রী নামে দুর্নীতির মামলা চলছে তাতে ওয়াসার কোন সমস্যা নেই। তদন্ত রিপোর্ট সম্পর্কে তিনি আহ্বায়ক যুবলীগ নেতা আনিসুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।

তদন্ত কমিটি প্রধান আনিসুর রহমান পপলুর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, তাদের তদন্তে কোন দৃশ্যমান অনিয়ম পাওয়া যায়নি। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।

তিনি জানান, উচ্চ আদালতে যে দুইজন রিট করেছে তাদের একজন রিট প্রত্যাহার করবে বলে তাদের কাছে লিখিত দিয়েছে। আর একজন বলেছে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সিনিয়রিটি মানা হয়নি। জুনিয়রদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

খুলনা ওয়াসার ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. আবদুল্লাহর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি আবারও জোর দিয়ে বলেন, নিয়োগ বাণিজ্যে দৃশ্যমান কোন অনিয়ম হয়নি। কেউ প্রমাণ করতে পারলে তিনি ব্যবস্থা নিবেন। উচ্চ আদালতের রিটের প্রসঙ্গে বলেন, তারা যথাযথ কর্তৃপক্ষর মাধ্যমে জবাব দিয়েছেন। নিয়োগ বাণিজ্যর তদন্ত কমিটির রিপোর্ট দেখতে চাইলে, তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন। তবে বলেন, তদন্ত কমিটি কোন অনিয়ম পায়নি। তবে মাস্টারোলে নিয়োগ বঞ্চিতদের পর্যায়ক্রমে নিয়োগ দিতে সুপারিশ করেছেন। সিটিজন চার্টার সম্পর্কে ম্যানেজিং ডাইরেক্টরের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, কাজ চলছে নগরজুড়ে। এখন কোথায় দিবো এই সিটিজেন চার্টার? দুদক-এর তদন্ত সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুদক তদন্ত করছে তার কাছে সেই ধরনের কোন অফিসিয়াল পত্র আসেনি।

(দ্য রিপোর্ট/এপি/এনআই/আগস্ট ১০, ২০১৭)