খুলনা প্রতিনিধি : খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের জন্য ৪৪০ কোটি ৭৯ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছে। বাজেটে মহানগরীর জলাবদ্ধতাকে প্রধান সমস্যা হিসাবে চিহ্নত করে তা নিরসনের জন্য ২১৯  কোটি ৯৯ লাখ টাকা বরাদ্দ রেখেছে।

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে খুলনা সিটি করপোরেশনের শহীদ আলতাফ মিলনায়তনে মেয়র মনিরুজ্জামান মনি এই বাজেট ঘোষণা করেন। এ সময় কাউন্সিলারসহ নগরীর গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

প্রস্তাবিত এ বাজেটে রাজস্ব ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫৫ কোটি ১৩ হাজার টাকা এবং সরকারি অনুদান ও বৈদেশিক সাহায্য নির্ভর উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ২৮৫ কোটি ৭৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।

উল্লেখ্য, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৬৭ কোটি ৮৪ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। যা সংশোধিত আকারে দাঁড়িয়েছে ২৪৬ কোটি ৫২ লাখ ৪৭ হাজার টাকা। যার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের হার ৫৬.৫৪%।

বাজেট ঘোষণাকালে সিটি মেয়র বাজেটের মূল বৈশিষ্টগুলো তুলে ধরে বলেন, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এ বাজেটে নতুন কোন কর আরোপ করা হয়নি। নগরীর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিজ বসত বাড়ীর হোল্ডিং ট্যাক্স পূর্বের ন্যায় এবারও সম্পূর্ণ মওকুফ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এটি একটি উন্নয়নমুখী বাজেট। এ বাজেটে নাগরিক সেবা সম্প্রসারণ ও সেবার মান উন্নত করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ বাজেটে নগরীর জলাবদ্ধতা দূরীকরণের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। মেয়র করপোরেশনের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য নিয়মিত কর পরিশোধসহ উন্নয়ন কাজে নগরবাসীর সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন।

কেসিসি মেয়র জানান, কেসিসির নিজস্ব সংস্থাপন ব্যয় মিটিয়ে রাজস্ব তহবিল হতে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক খাতে মোট ৫৮ কোটি ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। উক্ত বরাদ্দ হতে পূর্ত খাতে ২৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, ভেটেরিনারি খাতে ২৫ লাখ টাকা, জনস্বাস্থ্য খাতে ৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকা, কঞ্জারভেন্সি খাতে ১৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা এবং মহানগরীতে বিশেষ প্রয়োজনে জরুরী পানির চাহিদা মেটানোর জন্য এ খাতে ১ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এছাড়া বর্তমানে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন দাতা সংস্থার ১০টি অনুমোদিত প্রকল্প চলমান রয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এসব প্রকল্পে ১৮৮ কোটি ৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকার উন্নয়ন সহায়তা পাওয়ার আশা করা হচ্ছে।

বাজেট অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন কেসিসির অর্থ ও সংস্থাপন বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও কাউন্সিলর শেখ মো. গাউসুল আজম।

এ সময় কেসিসির প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলর, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, সরকারি কর্মকর্তা, কেসিসির উর্ধ্বতন কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

(দ্য রিপোর্ট/এমএইচএ/এনআই/আগস্ট ১০, ২০১৭)