কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে অজানা রোগে আক্রান্ত এক শিশুর সন্ধান পাওয়া গেছে। ইফসান নামের ওই শিশুর বয়স দুই বছর। জেলার বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্রে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরও চিকিৎসকেরা এ শিশুর রোগটি নির্ণয় করতে পারেনি বলে জানিয়েছে তার পরিবারের। এদিকে, রোগের চিকিৎসা করাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন শিশুটির হতদরিদ্র রাজমিস্ত্রি বাবা ইয়াসিন মিয়া। এ অবস্থায় রোগ নির্ণয়সহ উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সমাজের দানশীল ব্যক্তিদের কাছে মানবিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) সরেজমিন উপজেলার সিদলা ইউনিয়নের নামাসিদলা গ্রামের গেলে দেখা যায়, শিশুটির ওজন ক্রমাগত বেড়ে মোটা হতে চলছে। বর্তমানে শিশুটির ওজন প্রায় ১৬ কেজি। শিশুটি জন্মের পর থেকে অদ্যবধি মায়ের বুকের দুধ পান করে না। এমনকি চোখ মেলে তাকায়ও না, হাসেও না, কাঁদেও না। খাবার গ্রহণে অনীহা হলেও শিশুটির ওজন বৃদ্ধি ও শরীর মোটা হওয়া অব্যাহত আছে।

শিশুটির বাবা মো. ইয়াসিন মিয়া ও মা রুমা আক্তার জানান, দুই বছর আগে কিশোরগঞ্জের মেডিল্যাব হাসপাতালে ডা. মিতুলের তত্ত্বাবধানে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে জন্ম হয় শিশু ইফসানের। জন্মের পর ইফসান সুস্থ ছিল। দুই-তিন দিন পর হঠাৎ খিঁচুনি দেখা দিলে শিশুটিকে কিশোরগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খিঁচুনির মাত্রা বেড়ে গেলে তাকে দ্রুত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ইনকিউবেটরে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর কিছুটা সুস্থ হলে বাড়ি নিয়ে আসা হয় ইফসানকে। বাড়িতে কিছু দিন ভালো থাকার পর ফের অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কিশোরগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতাল ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করলেও কোনো উন্নতি হচ্ছে না তার। চিকিৎসার পেছনে সব শেষ করে বর্তমানে অর্থের অভাবে শিশুটির চিকিৎসা করাতে পারছে না বলে জানান তার পরিবার।

শিশুটির প্রাথমিক চিকিৎসক সাবেক হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হেলাল উদ্দিন জানান, শিশুটিকে দেশে কিংবা বিদেশে উন্নত চিকিৎসা করতে পারলে হয়তো ভালো হতে পারে। এর জন্য বিপুল টাকার প্রয়োজন হলেও হতদরিদ্র বাবা-মার পক্ষে তা জোগাড় করা সম্ভব নয়।

(দ্য রিপোর্ট/এজে/এনআই/আগস্ট ১১, ২০১৭)