দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : অত্যন্ত তপ্ত হয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়া পরিস্থিতি। দুদেশের মধ্যে এখন যে কথার লড়াই চলছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্বনেতারা।

তারা আশঙ্কা করছেন এই কথার লড়াই পরিস্থিতিকে আরও অশান্ত করে তুলবে। কিন্তু তাতে কোন তরফেরই থামবার লক্ষণ নেই।

বিবিসির খবরে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার উদ্দেশে বাক্যবাণ অব্যাহত রেখেছেন এবং যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের উপর সামরিক হামলা চালানোর ব্যাপারে আবারো পিয়ংইয়ংকে সতর্ক করে দিয়েছেন।

এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী ‘গুলি ভরা বন্দুকের মতই সতর্ক আছে’ এমন বক্তব্য দিয়ে বেশ একটা শোরগোল ফেলে দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, যে বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় উত্তর কোরিয়া অভিযোগ করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পরিস্থিতিকে একটি পারমাণবিক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছেন।

এবার নিউ জার্সিতে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, তিনি তার আগের ওই বক্তব্যে অটল রয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা খুব সতর্কতার সাথে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি। আমি আশা করছি তারা (উত্তর কোরিয়া) আমার কথার মাধ্যমে পরিস্থিতির গুরুত্ব সম্পূর্ণ রূপে অনুধাবন করতে পেরেছে। আমাকে বিশ্বাস করুন, এই লোক যা করছে, তাতে সে পার পাবে না।’

দুই দেশের এই কথার লড়াইয়ে এরই মধ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলোর নেতারা।

রাশিয়া মনে করছে, এর ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাওয়ার মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, ‘পরিস্থিতি যখন এমন দাঁড়ায় যে যেকোনো সময় বিস্ফোরণ ঘটবে, আমি মনে করি তখন পরিস্থিতি শান্ত করার প্রথম উদ্যোগটা নিতে হয় তাকে যিনি শক্তিশালী এবং চটপটে।’

ল্যাভরভ স্পষ্টতই এখানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ইঙ্গিত করছেন শান্তি স্থাপনের প্রথম পদক্ষেপ নেবার জন্য।

জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল বলছেন, তিনি মনে করেন, তীব্র কথার লড়াই চলছে সেটি তার দৃষ্টিতে ভুল জবাব।

উভয় পক্ষকেই শব্দ এবং বাক্য চয়নের ব্যাপারে সতর্ক হবার আহ্বান জানিয়েছে চীনও।

(দ্য রিপোর্ট/এআরই/ এনআই/আগস্ট ১২, ২০১৭)